বছর ঘুরলেই দেশে লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমারদের উদ্যোগে শুরু হয়ে গিয়েছে বিরোধী জোটের সলতে পাকানোর কাজ। এই আবহেই আগামী ২৩ জুন বিহারের পাটনায় বসছে বিরোধীদের বৈঠক। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই একজোট হবে আরজেডি, জেডিইউ, কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে সহ একাধিক বিরোধী দল। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের পৌরহিত্যেই এই বৈঠক বসছে। আর সেখান থেকেই জল্পনা যে ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লক্ষ্য়েই বিরোধীদের একজোট করছেন নীতীশ। যদিও রবিবার জেডি(ইউ) নেতা রাজীব রঞ্জন সিং সেই জল্পনা উড়িয়ে দিলেন। তিনি সাফ জানান, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হচ্ছেন না নীতীশ কুমার।
২০২২ সালে এনডিএ জোট ভেঙে বেরিয়ে, আরজেডি-কংগ্রেস সহ ৯টি দলের সঙ্গে জোট বেঁধে মহাগঠবন্ধন সরকার গঠন করেছেন জেডি(ইউ) নেতা নীতীশ কুমার। এরপর থেকেই বিজেপি অভিযোগ তুলেছিল যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন নীতীশ কুমার। সেই লক্ষ্যেই তিনি জোট ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছেন। যদিও জেডি(ইউ)-র তরফে বরাবরই সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। রবিবার জনতা দল (ইউনাইটেড)-র প্রধান রাজীব রঞ্জন বলেন, ‘নীতীশ কুমার প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হচ্ছেন না। বিজেপি-মুক্ত দেশের লক্ষ্যেই তিনি কাজ করছেন। বিরোধী দলগুলিকে একজোট করার লক্ষ্যে তিনি কাজ করছেন।’
জেডিইউ সমর্থকরা বিভিন্ন সময়ে নীতীশ কুমারকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার যে স্লোগান দিয়েছেন, তাও বন্ধ করার অনুরোধ করেন রাজীব রঞ্জন। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের স্লোগান দেবেন না। এতে বিরোধী জোটে প্রভাব পড়বে।’ তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে দেশ বিজেপি-মুক্ত হয়ে যাবে। ২৩ জুন সমস্ত দল একজোট হবে, তখনই আলোচনা করা হবে যে দেশের নেতৃত্ব কে দেবেন। যেই প্রধানমন্ত্রী হন না কেন, তিনি দেশে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করবে।’ রাজীব রঞ্জন ওরফে ললন সিং জানান, আগামী ২৩ জুনের বৈঠকে মোট ১৮টি বিরোধী রাজনৈতিক দল যোগ দেবেন। জম্মু-কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্স পার্টির প্রধান ফারুক আবদুল্লা ও পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান মেহবুবা মুফতিও বিরোধী জোটের বৈঠকে সমর্থন জানিয়েছেন বলে তিনি জানান।