বছর ঘুরলেই দেশে লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগে ক্রমশই অস্বস্তি বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের। একদিকে যেমন বিজেপিকে উৎখাত করতে শুরু হয়ে গিয়েছে বিরোধী জোটের সলতে পাকানোর কাজ। তেমনি অন্যদিকে, বিজেপির খবরদারি সহ্য করতে না পেরে একে একে এনডিএ ছাড়ছে একের পর এক শরিক দল। এবার যেমন হরিয়ানায় ভাঙনের পথে জননায়ক জনতা পার্টি এবং বিজেপির জোট! জেজেপি সুপ্রিমো দুষ্মন্ত চৌটালা জানিয়েছেন, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে তাঁর দল রাজ্যের ১০ আসনেই লড়াই করার জন্য তৈরি হচ্ছে। অন্যদিকে, জেজেপিকে ছাড়াই বিজেপি লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করছে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের বিধানসভা ভোটে হরিয়ানায় ৯০ আসনের মধ্যে ৪০ আসন পেয়েছিল বিজেপি। অবশেষে কয়েকজন নির্দল বিধায়ক এবং জননায়ক জনতা পার্টির কাঁধে ভর করে সরকার গড়ে তারা। কিন্তু তারপর থেকে নানান ইস্যুতে জেজেপি ও বিজেপির মতের অমিল হয়েছে। কৃষি আইনের সময়তেও জেজেপি-বিজেপি সংঘাত হয়েছিল। কিন্তু দেশের কুস্তিগিরদের আন্দোলন সেই মতের বিরোধকে চরমে নিয়ে গিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। আর তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বিচ্ছেদের পথে এগোচ্ছে দুষ্মন্তর দল।
জেজেপি সুপ্রিমো সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যকে স্থায়ী সরকার দিতেই, অমিত শাহের অনুরোধে তারা জোট করেছিলেন। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ১০ আসনেই জেজেপি লড়তে চায়। বিধানসভাতেও ৯০ আসনে লড়াই করার বার্তা দিয়েছেন দুষ্মন্ত। এদিকে, মহারাষ্ট্রেও শরিকি ঝামেলায় পড়েছে বিজেপি। একনাথ শিবিরের বক্তব্য, বিজেপির কিছু নেতা নিজেদের স্বার্থে জোটের ক্ষতি করছে। আগামীতে তারা জোটের ভবিষ্যৎ ভাববেন বলেও জানাচ্ছেন। অন্যদিকে, উদ্ধব শিবিরের দাবি শিবসেনার অনেকে বিক্ষুব্ধ জনপ্রতিনিধি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাছেন। জোট ছেড়ে বেরোতে চাইছেন। সবমিলিয়ে চব্বিশের আগে ক্রমশই চাপ বাড়ছে পদ্মশিবিরের।