ফের বিতর্কের কেন্দ্রে মোদী সরকার তথা দেশের শাসকদল বিজেপি। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন সারা বাংলাজুড়ে। এবার কি এ রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটেও নাক গলাচ্ছে মোদী সরকার? সম্প্রতি জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় সেই প্রশ্নই ঘনীভূত হয়েছে। রবিবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, তাদের ডিজিকে (ইনভেস্টিগেশন) বাংলায় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে স্পর্শকাতর কেন্দ্র খোঁজার জন্য নিয়োগ করেছে কমিশন। পর্যবেক্ষক হিসেবে তিনি বাংলার বিভিন্ন জেলায় যাবেন এবং সম্ভাব্য হিংসার সমীক্ষা করবেন। সেই সমীক্ষার ভিত্তিতেই মানবাধিকার কমিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে নোটিশ দেবে। যা খতিয়ে দেখে ভোটের আগে এবং পরে হিংসা ঠেকাতে রাজ্যকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অ্যাডভাইজরি আসার দু-সপ্তাহের মধ্যেই নবান্নকে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট দিতে হবে কমিশনকে।
অর্থাৎ, পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই কার্যত মোদী সরকারের নজরদারির আওতায় চলে এল বাংলা। পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব রাজ্য নির্বাচন কমিশনের, সেখানে কেন্দ্রীয় সংস্থার এহেন হস্তক্ষেপ নিয়ে শুরু হয়েছে শোরগোল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হতেই বাংলার উপর নানানভাবে প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে মোদী সরকার, এমনই অভিযোগ উঠেছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একাধিক সরকারি প্রকল্পের টাকা আটকে রাখারও অভিযোগ এনেছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। ১০০ দিনের কাজ, আবাস প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে বাংলার বিরুদ্ধে আর্থিক অবরোধ চালানোর অভিযোগ উঠছে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে বিতর্কের ঝড় বয়ে গিয়েছে বারবার।