প্রায় দেড় মাস হতে চলল মণিপুরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। ইন্টারনেটের উপর নিষেধাজ্ঞা বেড়েই চলেছে। শনিবার আরও এক দফায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে মণিপুর সরকার। বলা হয়েছে আগামী ১৫ জুন বিকেল ৩টে পর্যন্ত রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে।
ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার এই সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে। সেই মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তার পরেই শনিবার আবার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানো হল।
মণিপুরে হিংসার কারণে গত ৩ মে থেকে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে। ওই দিন থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে অশান্তি হয়। রাজ্যের হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আদি বাসিন্দা মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষ ক্রমে হিংসার আকার নেয়।
এখনও পর্যন্ত মণিপুরে হিংসার বলি হয়েছেন অন্তত ১০০ জন। আহত হয়েছেন ৩০০-র বেশি মানুষ। বহু মানুষ হিংসার কারণে ঘরছাড়া। সরকারি হিসাবে সংখ্যাটা ৫০৬৯৮। এই ঘরছাড়া মণিপুরবাসীদের জন্য সরকার ত্রাণশিবিরের আয়োজন করেছে। মোট ৩৪৯টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ঘরছাড়া বাসিন্দারা। সেখানে বিশেষ করে মহিলা, শিশু ও বয়স্কদের যাতে সমস্যা না হয়, নোডাল অফিসারদের তা দেখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।