কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর থেকেই জাতীয় রাজনীতির আঙিনায় আত্মবিশ্বাস ফিরে পাচ্ছে কংগ্রেস। এবার তাদের পাখির চোখ মধ্যপ্রদেশ। ইতিমধ্যেই প্রচারে নেমে পড়েছেন সর্বভারতীয় কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। সেই প্রচারের অগ্রভাগে রয়েছেন খোদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। প্রসঙ্গত, কর্ণাটকের ভোট প্রচারে কংগ্রেস বেশ কিছু সামাজিক প্রকল্পের ঘোষণা করেছিল। অনেকে মনে করেন, সেই সব প্রতিশ্রুতি নির্বাচনে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে। সেই ধাঁচেই মধ্যপ্রদেশে প্রথম দফার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করে দিল কংগ্রেস। যা অনেকটা বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সঙ্গে সমতুল্য। প্রিয়ঙ্কা ঘোষণা করেছেন, কংগ্রেস মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় ফিরলে মহিলাদের মাসে ১৫০০ টাকা করে দেবে। রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার দেওয়া হবে ভরতুকি মূল্যে। মাসে একটি সিলিন্ডার ৫০০ টাকায় পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য দিতে হবে না কোনও মাশুল।
এপ্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এহেন ভোট প্রতিশ্রুতি যে কার্যকরী হচ্ছে, তা অতীতে দিল্লীর নির্বাচনেও দেখা গিয়েছে। কর্ণাটকে কংগ্রেস এও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে বেকার যুবকদের মাসে ৩ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। কংগ্রেসের সেই সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে বছরে ৬৫ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে কর্ণাটক সরকারের। ঘটনা হল, কংগ্রেস বা আঞ্চলিক দলগুলির এহেন ঘোষণা বেশ চাপে ফেলে দিয়েছে বিজেপিকে। অর্থাৎ বিনা পয়সার রাবড়ি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সেই সব কটাক্ষ গায়েও মাখছে না কংগ্রেস। বরং কর্ণাটকের ভোট প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত করতে শুরু করে দিয়েছে সিদ্দারামাইয়া সরকার। মধ্যপ্রদেশে গত বিধানসভা ভোটেও বিজেপির তুলনায় বেশি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা কমলনাথ। তার পর জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ভেঙে বেশ কিছু বিধায়ক নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তাতে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে কমলনাথ সরকার। এবং সরকারের পতন ঘটে। ওই ঘটনা অনৈতিক বলেই সমালোচনা করেছিলেন বহু মানুষ। তোলপাড় হয়েছিল দেশের রাজনৈতিক মহল।হএবার ফের ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে নেমেছে কংগ্রেস। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এবার মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ভোট কুশলী হিসাবে ব্যবহার করছে সুনীল কানুগোলুকে। কর্ণাটকে প্রচারের কৌশল নির্মাণে প্রধান কাণ্ডারী ছিলেন সুনীলই।