আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সারা বাংলা জুড়ে জনসংযোগ জোরালো করার উদ্দেশ্যে ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচির সূচনা করছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। এই কর্মসূচি উপলক্ষে বাংলার জেলায় জেলায় পৌঁছে যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মিশছেন মানুষের ভিড়ে। কথা বলছেন তাঁদের সঙ্গে। শুনছেন সমস্যার কথা। শনিবার বিপুল জনসমাগমের মধ্য দিয়ে নদিয়া থেকে উত্তর ২৪ পরগনায় প্রবেশ করল তৃণমূলের ‘নবজোয়ার’ যাত্রা। এদিন নৈহাটিতে যাত্রার শুরুতেই দেখা গেল জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের ঐক্যের চিত্র। অভিষেককে স্বাগত জানাতে গোটা জেলা নেতৃত্ব হাজির ছিলেন নৈহাটিতে। তাদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকও। এদিন অভিষেককে স্বাগত জানাতে নৈহাটিতে হাজির ছিলেন প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়, দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, আরেক প্রবীণ নেতা তাপস চট্টোপাধ্যায়, ব্যারাকপুরের অর্জুন সিং, রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
এদিন জেলায় প্রবেশের আগে প্রবীণ নেতা শোভনদেব এবং সৌগতদের পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে দেখা গেল অভিষেককে। নৈহাটির কাঁপা মোড়ে জনগণের সঙ্গে কথা বলার পর অভিষেক যান গাইঘাটার দিকে। গোটা রাস্তাতেই এদিন মানুষের ভিড় এবং উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। বিকেল চারটে চল্লিশ মিনিট নাগাদ হরিণঘাটা থেকে অভিষেকের কনভয় পৌঁছায় গাইঘাটার হাঁসপুরে৷ তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ফুলের স্তবক দিয়ে তাকে স্বাগত জানান৷ এরপর শুরু হয় পদযাত্রা৷ অভিষেক হাসপুর থেকে স্থানীয় জলেশ্বর শিব মন্দির পর্যন্ত হেঁটে আসেন৷ তখনও রাস্তার দুপাশে মানুষের ভিড়৷ মহিলা ঢাকি তখন ঢাক বাজাচ্ছেন। মহিলারা উলুধ্বনি দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছেন৷ জলেশ্বর মোড় থেকে অভিষেক গাড়িতে করে যান গাইঘাটা বাজারে। সেখানে নেমে তিনি রাস্তার পাশে জড়ো হওয়া মানুষের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করতে করতে বেশ কিছুটা পথ হাঁটেন। আজ, রবিবার ঠাকুরবাড়ি যাওয়ার কথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের।