আজ, রবিবার তৃণমূলের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচি নিয়ে ঠাকুরনগরে যান দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ঠাকুরনগর যাওয়ার আগেই তুমুল বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ও তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মমতাবালা ঠাকুরের বাদানুবাদের মাঝে পড়ে মতুয়ারা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে মন্দিরের মূল দরজা বন্ধ করে দেন। তাতে অভিষেক গিয়ে মূল মন্দিরে ঢুকতে পারেননি। বাইরে থেকে পুজো দিয়ে তিনি বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শান্তনু ঠাকুরকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন অভিষেক। “আমাকে আটকানোর জন্য সকাল থেকে মন্দির ঘিরে রেখেছে বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। চাইলে ৫ মিনিটে আমি লোকজন হঠিয়ে মন্দিরে ঢুকতে পারতাম। কিন্তু তৃণমূল ভেঙে দেওয়া, গুঁড়িয়ে দেওয়ার রাজনীতি করে না। মন্দির শান্তনুর পৈতৃক সম্পত্তি নয়”, সাফ জানান তিনি।
রবিবার মন্দিরের বাইরে থেকে প্রণাম সেরে বেরিয়ে অভিষেক সোজা চলে যান ঠাকুরবাড়িতে। মতুয়া সম্প্রদায়ের বড়মা প্রয়াত বীণাপানি দেবীর ঘরে গিয়ে তাঁর মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানান। সেখানে বসে কিছুক্ষণ কথা বলেন। এরপর বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ”আমাকে আটকাতে বিজেপি বদ্ধপরিকর। সকাল থেকে মন্দির ঘিরে রেখেছি। চাইলে ৫ মিনিটে মন্দিরে ঢুকতেই পারতাম। কিন্তু তা করিনি। মন্দির রাজনীতি করার জায়গায় নয়। এখানে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না আমার। হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলাম। আমার কর্মসূচি এখান থেকে দূরে, হাবড়ায়। এই মন্দির শান্তনু ঠাকুরের পৈতৃক সম্পত্তি নয়। মানুষের শ্রদ্ধা আর আবেগের জায়গা। যা করলেন ওঁরা, তার জবাব চাইবে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষজন।” অভিষেক মন্দিরে ঢুকলে তা গোবরজল দিয়ে শুদ্ধ করা হবে বলে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শান্তনু ঠাকুর। তার কড়া জবাব দেন অভিষেক।”গোবরজল দিয়ে শুদ্ধিকরণ হোক না। ভালই হবে। আমি বলছি, আমি প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর আসব এখানে। ওঁরাও শুদ্ধিকরণ করুন। অন্তত এটুকু কাজ তো করুন”, বক্তব্য তৃণমূল সাংসদের।