আগেই খুইয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর পদ। এবার এমপি পদ থেকেও ইস্তফা দিতে বাধ্য হলেন বরিস জনসন। ‘পার্টিগেট কেলেঙ্কারি’র জেরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলে খবর।
প্রসঙ্গত, করোনা রুখতে দীর্ঘ দু’বছর লকডাউন বিধি জারি ছিল গোটা ব্রিটেনে। কিন্তু সেই লকডাউন চলাকালীনই খাস ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে অজস্র পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। যার মধ্যে অন্তত তিনটিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস নিজেও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। কয়েক মাস আগে কয়েকটি প্রথম সারির ব্রিটিশ দৈনিকে জনসনের পার্টিতে উপস্থিত থাকার ছবিও ফাঁস হয়ে যায়। আর তারপরেই তদন্তে নামে পুলিশ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ‘পার্টিগেট কেলেঙ্কারি’র এক তদন্ত রিপোর্টের জেরেই শুক্রবার পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন বরিস জনসন। তাঁর দাবি, বহু দলীয় প্রিভিলেজেস কমিটির রিপোর্টের জেরেই তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। ওই তদন্তে তাঁকে অন্যায়ভাবে এমপি পদ থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বরিস বলেন, ‘আমি খুব অবাক হলাম এটা দেখে যে ওরা (প্রিভিলেজেস কমিটি) আমাকে পার্লামেন্ট থেকে বের করে দিতে চায়। তাই আমি পদত্যাগ করছি। আক্সব্রিজ ও সাউথ রুইসলিপ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা আমি জানিয়ে দিয়েছি।’