একদিকে যখন কেন্দ্রের মোদী সরকার এবং বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি দীর্ঘদিনের চালু সিলেবাস থেকে মুঘল শাসন, প্রগতিশীল, কংগ্রেস দরদী মনীষী, শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিকের জীবনী, রচনা, কবিতা ইত্যাদি বাদ দিচ্ছে। তখন তাদের পাল্টা দিল কর্ণাটকে নবনির্বাচিত কংগ্রেস সরকার। তারা দায়িত্ব নিয়েই মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে দুটি সিদ্ধান্ত করেছে। ১. নির্বাচনের আগে ঘোষিত সমস্ত পরিষেবামূলক প্রতিশ্রুতি দ্রুত চালু করা। সেই মতো সরকারি নির্দেশও বেরিয়ে গিয়েছে। ২. রাজ্যের সিলেবাসের আমূল পরিবর্তন ঘটাতে কমিটি গঠন
ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া রাজ্যের শিক্ষা জগতের ৪০জন বিশিষ্টজনকে ডেকে সম্প্রতি কথা বলেছেন। তাঁদের ৫ জুনের মধ্যে পরামর্শ সরকারের কাছে লিখিতভাবে জমা করতে বলা হয়েছিল। সেগুলি খতিয়ে দেখে রাজ্য সরকার সিলেবাস কমিটির কার্যসূচি তৈরি করবে।
সরকারি সূত্রের খবর, সেই সুপারিশের ভিত্তিতে কর্ণাটক সরকার সিলেবাস কমিটির জন্য তৈরি খসড়া কার্যসূচিতে বলেছে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ বা আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের জীবনী শিক্ষার সব সিলেবাস থেকে বাদ দিতে হবে। এছাড়া বিজেপি সরকার যতভাবে সিলেবাসকে হিন্দুত্বমুখী করেছে তাও শোধরানো হবে। ফেরানো হবে বাদ যাওয়া অংশ। উল্লেখ্য, সিদ্দারামাইয়া সরকার আসলে ‘অপারেশন ক্লিন’ চালু করেছে। অর্থাৎ আগের সরকারের বহু নীতি, আইন, বিধি তারা বাতিল অথবা সংশোধন করবে, ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে শিক্ষাঙ্গনে মুসলিম মেয়েদের হিজাব পরার অধিকার তারা ফিরিয়ে দেবে। সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি হলেই সরকার পদক্ষেপ করবে। সংশোধন করা হবে ধর্মান্তকরণ এবং গরুর মাংস বিক্রি সংক্রান্ত আইনে।