লোকাল ট্রেনে হকারিকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে রেল। পাশাপাশি সাধারণ মেল এক্সপ্রেসে একইরকমভাবে কর্পোরেট সংস্থাকে দিয়ে হকারদের মাল বিক্রির পরিকল্পনা নিয়েও চুক্তি করেছে রেল। ফলে লোকাল ট্রেনে যেতে যেতেও পাঁচ টাকার চিপস, বাদাম, চানাচুর কিনে মুখে পুরে দেওয়ার দিনও এবার শেষ হতে চলেছে! জানা গিয়েছে, হাওড়া, শিয়ালদহ ডিভিশনের ট্রেনগুলি থেকে হকার উচ্ছেদ করতে চলেছে রেল। রেলের যাবতীয় ব্যবহার্য স্বাচ্ছন্দ্যগুলির অধিকাংশই ব্যক্তি মালিকানার হাতে তুলে দিয়েছে রেল। এবার হকারিও করা হবে কর্পোরেট সংস্থার মাধ্যমে।
এজন্য রেল চুক্তিবদ্ধও হয়েছে নয়ডার একটি সংস্থার সঙ্গে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে বর্ধমান থেকে চলাচলকারী বিভিন্ন স্বল্পদূরত্বের ট্রেনে হকারদের বিক্রীত যাবতীয় পণ্য বিক্রি করা শুরু করে দিয়েছে চুক্তিবদ্ধ কর্পোরেট সংস্থার লোকজন। এই নিয়ে নিত্য হকারেদের সঙ্গে ঝামেলা লেগে রয়েছে। হাওড়া, শিয়ালদহ দুই ডিভিশনে প্রায় দেড় থেকে দু’লক্ষ হকার ট্রেন ও রেল চত্বরে হকারি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। হকারি বন্ধ হলে রীতিমতো ভাতে মারা পড়বে এই পরিবারগুলি। তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এই উচ্ছেদকে চূড়ান্ত জনবিরোধী নীতি রেলের বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, উচ্ছেদের প্রতিবাদে বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন শুরু হয়েছে। এরপর আন্দোলনকে আরও বৃহত্তর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে।