প্রশ্নের মুখে পড়ল উড়িষ্যার প্রশাসন। এবার করমণ্ডল এক্সপ্রেস-দুর্ঘটনায় বিহারের এক যুবকের মৃতদেহ, কাকদ্বীপের মৃত যুবক বলে পাঠিয়ে দেওয়া হল। ঘটনায় বিভ্রান্ত মৃতের পরিবার। ফিরে গেল মৃতদেহ। উড়িষ্যার রেল দুর্ঘটনায় সাত দিন কেটে যাওয়ার পরে অবশেষে কাকদ্বীপের একটি পরিবারে ফিরে আসে প্রিয়জনের মৃতদেহ। কিন্তু ফিরে আসার পরেও পরিবারের লোকজন মৃতদেহ গ্রহণ করতে পারলেন না। তিন সদস্যর মৃতদেহ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার বিকেলে এক নিখোঁজ ব্যক্তির মৃতদেহ কাকদ্বীপে নিয়ে আসা হয় বালেশ্বর এলাকা থেকে। মৃত সামসুল হুদা শেখ নামে বছর তিরিশের এক যুবকের দেহ বলে জানা যায়। মৃতদেহ বাড়িতে ফিরলেও গ্রহণ করতে পারলেন না বাড়ির লোকজন। মৃতের বাড়ির লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কাকদ্বীপ পুলিশ মর্গে বডি ময়নাতদন্ত করার সময় মৃতদেহের পোশাকের মধ্য থেকে পাওয়া যায় আধার কার্ড। জানা যায়, তাঁর নাম রাজা সাহানিয়া। বিহারের বাসিন্দা তিনি।
প্রসঙ্গত, এরপরেই শুরু হয় জটিলতা। মৃতদেহটি শেখ শামসুল হুদার নয়। ফলত এই মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করে শামসুল হুদার পরিবার। অগত্যা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাতে মৃতদেহটি পুনরায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় উড়িষ্যার বালেশ্বরে। এর পাশাপাশি পরিবারের লোকের জন্য সঙ্গে কথা বললে জানা যায় শামসুল হুদা শেখ ছাড়াও আরও দুজনের মৃতদেহের এখনও পর্যন্ত খোঁজ পাঅয়া যায়নি। ৪৭ বছরের আদুল মাজিত শেখ এবং ৩৪ বছরের গিয়াসউদ্দিন শেখ। এখনও তিনজনকে না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা গ্রাম। যদিও একজনের দেহ পাওয়া গেলেও, সেটা আবার অন্য রাজ্যের বাসিন্দার মৃতদেহ। মৃতদেহ আসার আগে সঠিক শনাক্তকরণ হচ্ছে না কেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সাত দিন কেটে যাওয়ার সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত মৃতদেহ কেন পাচ্ছেন না তাঁরা? দাবি পরিবার-সহ এলাকাবাসীদের।