মোদী পদবী নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে হওয়া মানহানির মামলায় গত ২৩ মার্চ রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করে দু’বছরের কারাদন্ড দেয় সুরাতের আদালত। তারপরই খারিজ হয়ে যায় তাঁর সাংসদ পদ। ফলে, কেরালার ওয়ানাড় লোকসভা কেন্দ্রটি এই মুহূর্তে সাংসদহীন। তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার রায়কে, গুজরাত হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন রাহুল। মামলাটি এই মুহূর্তে বিচারাধীন বলে, এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন করাও সম্ভব নয়। কিন্তু, এই ওয়ানাড়েই সম্প্রতি মক পোল বা ছদ্ম ভোট হয়ে গেল। নির্বাচন কমিশনের এক কর্তা জানিয়েছেন, শুধু ওয়ানাড় নয়, কেরালার সমস্ত নির্বাচনী এলাকা-সহ, পর্যায়ক্রমে গোটা ভারতব্যাপীই এই ছদ্ম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আসলে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং চলতি বছরের শেষে যে পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হবে, তার জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে সারা দেশে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট যন্ত্রগুলির ‘প্রাথমিক স্তরের পরীক্ষা’ শুরু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার, ওয়ানাড়ে এই ছদ্ম ভোট হয়। এই বিষয়ে কমিশন বলেছে, ইভিএম এবং ভিভিপ্যাটের প্রথম স্তরের পরীক্ষা হিসেবেই ছদ্ম ভোটের আয়োজন করা হয়।’ ওই কর্তা বলেছেন, ‘এই ধরনের অনুশীলনের জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একটি ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয়। ছদ্ম ভোটের আয়োজনের সময় কী কী করতে হবে, সেই নির্দেশাবলী ক্যালেন্ডারেই দেওয়া থাকে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারদের সেই নির্দেশ অনুসরণ করতে হয়।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, বছরের শেষেই রাজস্থান, মিজোরাম, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানা এবং মধ্য প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তাই এই রাজ্যগুলিতে আগে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট পরীক্ষা করা হবে। এর পাশাপাশি ওয়ানাড় (কেরল), পুনে এবং চন্দ্রপুর (মহারাষ্ট্র), গাজিপুর (উত্তর প্রদেশ) এবং আম্বালা (হরিয়ানা) লোকসভা আসনগুলিও খালি রয়েছে। উপনির্বাচন হওয়ার কথা। সেখানেও ইভিএম এবং ভিভিপ্যাটের ‘ফার্স্ট লেভেল চেক’ হবে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন এবং ভিভিপ্যাট তৈরি করে দুই রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা – ভারত ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড এবং ইলেক্ট্রনিক্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া। এই দুই যন্ত্রের প্রাথমিক স্তরের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় এই দুই সংস্থার ইঞ্জিনিয়াররা উপস্থিত থাকবেন। যান্ত্রিক ত্রুটি ধরার জন্য তারা সেগুলি পরীক্ষা করবেন। এছাড়া, এই ক্ষেত্রে সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে মেশিন দুটি পরীক্ষা করার জন্য একটি ছদ্ম ভোটও করা হয়।