ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় কেঁদে উঠল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলম। সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো মানুষদের জন্য আবেগময়ী কবিতা লিখলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। যে কবিতার প্রতিটি ছত্রে-ছত্রে যেন স্বজন হারানো মানুষদের কষ্ট, আর্তি ফুটে উঠল। প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যুর ফলে কতগুলি পরিবার যে নিঃস্ব হয়ে গেল, কত শিশু যে বাবা-মা’কে হারাল, তা যেন মুখ্যমন্ত্রীর কবিতায় জীবন্ত দলিল হয়ে উঠেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর সেই আবেগমাখা কবিতায় চোখ ভিজেছে নেটিজেনদেরও। তেমনই একজন বলেন, ‘খুবই বেদনাদায়ক লেখা, অসাধারণ দিদি। এই ট্রেন দুর্ঘটনা যে কতটা কষ্টদায়ক, তা বলার ভাষা নেই। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যে যাঁরা স্বজন হারালেন, তাঁরা যেন এই কষ্ট সহ্য করার শক্তি পান এবং ভবিষ্যতে যেন এরকম দুর্ঘটনা কখনও না ঘটে।’ অপর একজন বলেন, ‘মন ছুঁয়ে গেল কবিতাটা। কত পরিবার স্বজন হারাল। কত বৃদ্ধ বাবা-মা তাঁর শেষ সম্বল হারালেন। চিন্তা করলেই গা শিউরে ওঠে। এর দায় কখনও এড়াতে পারে না ভারতীয় রেল। চাই না আমাদের বুলেট ট্রেন, চাই যাত্রী সুরক্ষা।’
গত সপ্তাহের শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা ওড়িশার বালাসোরে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা হয়। বালাসোর জেলার বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছে মালগাড়িতে ধাক্কা মারে আপ শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। যে মালগাড়িতে আকরিক লোহা বোঝাই ছিল। তার জেরে লাইন থেকে ছিটকে যায় করমণ্ডলের একাধিক কোচ। কয়েকটি অন্য লাইনেও পড়ে। সেইসময় উলটোদিক থেকে ডাউন এসএমভিটি বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস আসছিল। যা করমণ্ডলের কোচে ধাক্কা মারে। লাইনচ্যুত হয়ে যায় হাওড়াগামী ট্রেনেরও একাধিক কোচ। ওই ঘটনায় প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১,০০০ জনের বেশি। মৃত্যু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের অনেক মানুষেরও। আহতও হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের অনেকে। মৃতদের পরিবার এবং আহতদের আর্থিক অনুদান প্রদান করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।