এবার কর্পোরেটদের সমালোচনায় সরব হলেন আরটিআই কর্মী তথা তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলে। প্রসঙ্গত, বিরোধীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, দেশবাসী নয় কর্পোরেটদের জন্য সরকার চালাচ্ছেন মোদী। সম্প্রতি করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সর্মথনে কথা বলেছেন আরপিজি গ্ৰুপের চেয়ারম্যান হর্ষ গোয়েঙ্কা। কিন্তু কেন? প্রশ্ন তুললেন আরটিআই কর্মী সাকতে গোখলে।সরেল দুর্ঘটনার পর বিরোধী থেকে শুরু করে আম জনতা, সকলেই রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছিলেন। তাদের তীব্র ভাষায় সমালোচনা করে টুইট করেন হর্ষ গোয়েঙ্কা। রেলমন্ত্রীর ইস্তফার দাবিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতও বলেন হর্ষ। কিন্তু হর্ষ কেন বিরোধীদের বিরুদ্ধে সরব? রেলমন্ত্রীর হয়ে কেন তিনি সওয়াল করছেন? উত্তর খুঁজছে একাধিক মহল। বইছে বিতর্কের ঝড়ও।
উল্লেখ্য, আরপিজি গ্ৰুপের আরও একটি কোম্পানি রয়েছে, তার নাম কেইসি ইন্টারন্যাশনল। সেখানেও চেয়ারম্যান হর্ষ। গত বছর অক্টোবরে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার চুক্তি হয়, কেইসি ইন্টারন্যাশনল এবং রেল দপ্তরের সঙ্গে। জানা যাচ্ছে, ট্রেনে কবচ অর্থাৎ অ্যান্টি কলিশন সিস্টেম ইন্সটল করার জন্য কেইসি ইন্টারন্যাশনলকে বরাত দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, রেলপথের মাত্র দুই শতাংশ অংশ কবচের আওতাধীন। বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনার চারদিন পর অর্থাৎ ৬ জুন কেইসি ইন্টারন্যাশনল ফের ৬০০ কোটি টাকার বরাত পায় রেলের তরফে, কবচ ব্যবস্থার জন্যই এই বরাত দেওয়া হয়। টুইট করার মাত্র তিনদিন পর কী করে হর্ষ গোয়েঙ্কার কোম্পানি ফের ৬০০ কোটি টাকার বরাত পেল? বরাত পাবেন, নিশ্চিত ছিল বলেই কি তিনি অশ্বিনী বৈষ্ণবের হয়ে ব্যাটন ধরলেন তিনি? এমন সম্ভাবনার আঁচ পাচ্ছেন অনেকেই।