শুক্রবার করমণ্ডল বিপর্যয়ের পরের দিনই বালেশ্বরের দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বালেশ্বরে দাঁড়িয়েই বাংলার মৃতদের পরিবারের জন্য ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছিলেন তিনি। সেই মতো বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। আহত ও মৃতদের পরিবারের একজনকে হোমগার্ডে চাকরি দেওয়ার ঘোষণাও করেন। সেই সঙ্গেই তিনি ঘোষণা করেন, ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত, আহত, ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের ছেলেমেয়েরা যদি পড়তে চায় তাহলে সেই ব্যবস্থাও করা হবে।
সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির জেলাশাসকদের সঙ্গে এই ব্যাপারে আলোচনা করবে রাজ্য শিক্ষা দফতর। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, ক্ষতিগ্রস্ত পড়ুয়া বা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ছেলেমেয়েদের মধ্যে ৫০ জন ছাত্র ও ৫০ জন ছাত্রীকে রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশনে অ্যাডমিশন দেওয়ার ব্যবস্থা হবে। যে যেখানে থাকেন, তার কাছাকাছি রামকৃষ্ণ মিশনেই পড়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে। তাছাড়া পড়ুয়াদের প্রয়োজন অনুযায়ী পড়াশোনায় যাবতীয় সাহায্য করবে রাজ্য সরকার, দেওয়া হবে স্কলারশিপও।