রেল দুর্ঘটনা এড়াতে দেশের সমস্ত ট্রেনে ‘কবচ’ নামের ‘অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস’ লাগিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তারপরেও বালেশ্বর কাণ্ডে প্রায় ৩০০ জন ট্রেনযাত্রীর প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এবার তা নিয়ে বিজেপি তথা মোদীকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নবজোয়ার কর্মসূচিতে হুগলির আরামবাগের জনসভায় সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর নাম নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ট্রেনে যে কবচ দেননি তার প্রমাণ বালেশ্বরের দুর্ঘটনা। কিন্তু দেশের সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত যাঁরা তাঁদের কবচ দিয়েছে বিজেপি। টিভির পর্দায় হাত বাড়িয়ে যে নারদায় টাকা নিয়েছে তাঁকে কবচ দিয়েছে। দেশের গর্ব মহিলা কুস্তিগীরদের যে বিজেপির সাংসদ শ্লীলতাহানি করেছে তাঁকে কবচ দিয়েছে। আগে মানুষ দেখত চোর চুরি করে জেলে যায়, এখন চোর চুরি করে বিজেপিতে যাচ্ছে কবচের জন্য।’
এখানেই না থেমে অভিষেক আরও বলেন, ‘সারদা-নারদায় যাদের নাম রয়েছে তাঁদের সবাইকে কবচ দিয়ে নিরাপত্তা দিয়েছে বিজেপি। উল্টোদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার সমস্ত মানুষকেই বাড়ি বাড়ি পৌঁছে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ দিয়েছেন। সে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি যাঁকেই ভোট দিন না কেন, সবাইকে মুখ্যমন্ত্রী সুরক্ষা কবচ দিয়েছেন। এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি, ভোটের পর রাজনীতি নয়, সমস্ত মানুষকে সঙ্গে নিয়েই উন্নয়ন। এটাই মানব ধর্ম।’ তাঁর সাফ কথা, ‘কোনওভাবেই আমরা দিল্লির কাছে মাথা নত করব না। অমিত শাহরা চেষ্টা করছে আমাদের মাথা নত করিয়ে দিল্লির পা ধরার। আর আমরা বলছি, এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ব না। মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে, আমরা শিরদাঁড়া সোজা রেখেই লড়ছি, লড়ব। নবজোয়ার শুরুর পর নানা এজেন্সি লাগিয়ে চেষ্টা হয়েছে কর্মসূচি বাধা দেওয়ার। কিন্তু শুরুর সময় যে উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল তার চেয়ে দশগুন বেশি উৎসাহ নিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি।’