এবার বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। আজ, বৃহস্পতিবার তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচীতে নদিয়ায় আসছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষ্ণনগর থেকে নবদ্বীপ যাওয়ার রাজ্য সড়কের পাশে অবস্থিত নরসিংহ দেবের মন্দিরে পুজো দিয়ে সফরসূচি শুরু করতে চান তিনি। দ্বিতীয় দিনে তাহেরপুর থানার বাদকুল্লার জনসভা রয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে অভিষেকের এই জনসভায় মতুয়া অধ্যুষিত নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলায় রেকর্ড ভিড়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে দল। তার মধ্যেই এবার শান্তনু ঠাকুরকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের পার্থ। এদিকে শুক্রবার বাদকুল্লার অনামি ক্লাবের মাঠে দুপুরে সভা শুরু করবেন অভিষেক।
প্রসঙ্গত, উক্ত অভিষেকের এই জনসভায় বিপুল জনজোয়ারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শান্তিপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী। তাঁর কথায়, “এখানের ঐতিহ্য নিয়েই মতুয়া, আদিবাসীরা ভিড় জমাবেন সভাস্থলে। চৈতন্য মহাপ্রভুর অন্নপ্রাশন হওয়া স্মৃতি বিজড়িত নরসিংহদেবের মন্দিরে অভিষেকের আগমনের জন্য দলীয় বৈঠকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। সেখান থেকেই তিনি কর্মসূচি শুরু করছেন। তাঁর সভায় বিপুল পরিমাণ জনস্রোত গিয়ে মিশবে। শুক্রবার প্রমাণ হবে বিজেপির রাজনৈতিক অভিসন্ধি সত্ত্বেও মতুয়া ও আদিবাসী সম্প্রদায় তৃণমূলের পাশেই রয়েছে।”
শান্তনুকে বেশ কড়া ভাষায় তোপ দেগেছেন পার্থ। “শান্তনু ঠাকুরদের যদি ন্যূনতম সম্মান থাকত তাহলে তাঁরা বিজেপির দালালি করত না। সংসদ ভবন উদ্বোধনের সময় ডাকা হয়নি রাষ্ট্রপতিকে। কারণ সে ছোট জাত বলে। কেন ডাকা হয়নি সেখানে এসসি–এসটিদের? যেখানে ব্রাহ্মণরা পুজো করে সেখানে এসসি ও এসটিদের প্রবেশ নিষেধ। রাম মন্দির যখন উদ্বোধন হল তখন শান্তনু ঠাকুর ঠাকুরবাড়ির জল পাঠিয়েছিল। কিন্তু সেটা ঢুকতে দেয়নি। কিন্তু শান্তনু ঠাকুরকে এমপি থাকতে হবে। তাই নরেন্দ্র মোদীর কথামতো চলতে হবে। কিন্তু যাঁরা মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ তাঁরা কি এই অপমান মানবে?”, প্রশ্ন সেচমন্ত্রীর।