করমণ্ডল-আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই এবার বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পেল নয়াদিল্লী-ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেস। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলায় ঘটতে পারত এই দুর্ঘটনা। দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের অধীনে আদ্রা বিভাগের ভোজুডিহ স্টেশনের কাছে একটি ক্রসিং দিয়ে যাচ্ছিল নয়াদিল্লী-ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেস। সেই সময় রেললাইনে একটি ট্র্যাক্টর দাঁড়িয়েছিল। এদিকে ক্রসিং গেট পড়ে যাওয়ায় ট্র্যাক্টরটি সরানো যায়নি। এই আবহে সংঘর্ষ হতে পারত। জানা গিয়েছে, গতকাল বিকেল ৪টে ৪৫ মিনিটে সাঁথালডিহ রেল ক্রসিংয়ে ঘটনাটি ঘটে। বুধবার ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা যায়, ট্রেন এবং ক্রসিংয়ে ড্রপ গেটের মধ্যে আটকে আছে ট্র্যাক্টরটি। আদ্রা বিভাগের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার বিকাশ কুমার জানান, “রেল লাইন পার হওয়ার পর অন্য দিকের ড্রপ গেটের কাছে ট্র্যাক্টরটি বিকল হয়ে যায়। ট্র্যাক্টর চালক আতঙ্কিত হয়ে পালিয়ে যায়। ট্রেন ক্রসিংয়ে পৌঁছালে লোকো পাইলট জরুরি ব্রেক প্রয়োগ করে ট্রেনটিকে থামিয়ে দেন। এতে কেউ আহত হননি। তদন্তের পর, গেটম্যানকে ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে এবং তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ট্র্যাক্টরটি যেহেতু রেললাইন অতিক্রম করতে গিয়েছিল, তাই সেটিকে ড্রপ গেট দিয়ে যেতে দেওয়া উচিত ছিল গেটম্যানের।”
স্বাভাবিকভাবেই ঘটনাটির জেরে এই রুটে ৪৫ মিনিট বিঘ্নিত হয় রেল চলাচল। কয়েকদিন আগেই করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও তরতাজা দেশবাসীর মনে। প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় রেল। এই আবহে রাজধানীর চালক তৎপরতা না দেখালে আরও একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকতে পারত দেশ। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ উড়িষ্যার বালেশ্বর জেলার বাহানগা বাজার রেল স্টেশনের কাছে আপ শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়ে যায়। দুর্ঘটনার তীব্রতা এতই ছিল যে যাত্রীবাহী ট্রেনটির ইঞ্জিন উঠে যায় এক মালগাড়ির ওপর। ট্রেনের অধিকাংশ বগি ছিটকে পড়ে পাশের লাইনে। এই সময় উলটো দিক থেকে আসা যশবন্তপুর-হাওড়া হামসফর এক্সপ্রেসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে করমণ্ডলের লাইনচ্যুত বগিগুলিতে। ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়। গত দুই দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এটি।
![বোকারোয় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পেল রাজধানী এক্সপ্রেস! - সাসপেন্ড গেটম্যান](https://ekhonkhobor.com/wp-content/uploads/2023/06/WhatsApp-Image-2023-06-07-at-15.11.07-2.jpeg)