মুখ্যমন্ত্রীর গড়া অভাব-অভিযোগ কেন্দ্রে (গ্রিভান্স সেল) জমা পড়া অভিযোগের নিষ্পত্তি কেমন হচ্ছে, রাজ্যের সব দফতরের কাছে জানতে চাইলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। মঙ্গলবার নবান্ন থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে রাজ্য সরকারের দফতরগুলিকে মোট আটটি বিষয়ে রিপোর্ট দিতে বলেছেন মুখ্যসচিব। তার মধ্যেই রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভান্স সেলের বিষয়টিও।
রাজ্যের মানুষের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে এই সেলটি গঠন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে এই সেলে কত অভিযোগ জমা পড়েছে এবং কতগুলির নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়েছে তার দেখভাল করেন মুখ্যসচিব। এ নিয়ে আগামী ১৫ জুনের মধ্যে দফতরগুলিকে তাদের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারের সব দফতরকে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে হবে মুখ্যসচিবের কাছে। মুখ্যসচিবের দফতরে দেওয়া সেই রিপোর্টে সংশ্লিষ্ট দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের স্বাক্ষর থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রাজ্যে এ বছরই পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার কথা। পরের বছর রয়েছে লোকসভা ভোট। যদিও এই সব রিপোর্ট তলবের সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করছেন না নবান্নের শীর্ষ আধিকারিকেরা।
গ্রিভান্স সেলের বিষয়টি ছাড়া আর যে যে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে তা হল, বিভিন্ন দফতরকে ঘিরে যে সমস্ত মামলা আদালতে চলছে সেইগুলি এখন কোন পর্যায়ে রয়েছে; ক্ষতিপূরণ বাবদ চাকরি পাওয়ার যে বিষয়গুলি সংশ্লিষ্ট দফতরের হাতে রয়েছে সেই বিষয়গুলি নিয়ে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ইত্যাদি। বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চতর পদের আধিকারিকেরা নিচুতলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কী রিপোর্ট দিয়েছেন তা-ও মুখ্যসচিবের দফতরের কাছে জানাতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন বনাঞ্চলে প্রায়শই মানুষের সঙ্গে বন্যপ্রাণীদের দ্বন্দ্বের ঘটনা প্রকাশে আসে। এমন ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলিকে যথাযথ সাহায্য করা হয়েছে কি না রাজ্য সরকারের তরফে, তা-ও এই রিপোর্টে জানাতে হবে মুখ্য সচিবকে।