কিছুদিন আগেই স্বামীকে হারিয়েছেন পুরুলিয়ার অর্চনা পাল। শুক্রবার করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা কেড়ে নিল তাঁর একমাত্র সন্তান এবং ভাইকেও। সোমবার নিজের বাড়িতে ফিরেছেন তিনি। ভাই এবং ছেলের দেহও ফিরছে বাড়িতে।
পুরুলিয়ার হুড়ার হাটতলার বাসিন্দা অর্চনা পালের চোখের সামনে ভাসছে যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেসের জেনারেল বগিতে শুক্রবার সন্ধেবেলার সেই ছবিটা। সুদূর ভেলোর থেকে নিজের টিউমারের চিকিৎসা করিয়ে প্রায় একমাস আগে স্বামীহারা অর্চনা দেবী ক্লান্ত শরীর এলিয়ে দিয়েছিলেন ওই ট্রেনের মেঝেতে। আর বাবু অর্থাৎ ছোট্ট সুমন পাল ছিল অর্চনা দেবীর ভাই সঞ্জয় কুম্ভকারের কাছে সিটের ওপরে অর্থাৎ বাঙ্কে শুয়ে। হঠাতই প্রবল ঝাঁকুনিতে সব শেষ।
রবিবার সকালের দিকে বালাসোর মেডিক্যালের বিছানায় যখন শুয়ে অর্চনা দেবী। তখন শোনেন তাঁর ভাই আর নেই। নিখোঁজ ছেলেও। ভাগ্যের এই পরিহাস মানতেই পারছেন না তিনি। ছোট্ট বাবুকে খুঁজতে তার দাদু অর্থাৎ অর্চনা দেবীর শ্বশুর অনিল পাল শনিবার বিকালের দিকেই বালেশ্বরে পা রাখেন। কিন্তু মেডিক্যাল থেকে ভদ্রক, সেখান থেকে কটক ঘুরে ভুবনেশ্বর এইমসে এসেও নাতির কোনও খোঁজ পাননি। তাঁর কথায়, ‘শনিবার থেকে অনেক ঘুরেছি। বাবুটার কোন খোঁজ নেই।’ অবশেষে কফিনবন্দি অবস্থায় বাড়ি ফিরছে সে।