শুক্রবার উড়িষ্যার বালেশ্বরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। যার ফলে গোটা এলাকা কার্যত মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই তা ৩০০ ছু্ঁইছুঁই। আহত অনেকে। ঘটনার পরপরই তদন্ত কমিটি গঠন করে রেলমন্ত্রক। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা নিয়ে রবিবার দু’টি তথ্য সামনে এসেছে। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে গোটা দেশে।
রবিবার সকালে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো করমণ্ডল রেল দুর্ঘটনা নিয়ে নিজের মতামত জানান। দুপুরের পরে রেল মন্ত্রকও তদন্ত নিয়ে মুখ খোলে। তারাও একটি কারণ জানায়। কিন্তু দু’টি কারণ আদতে ভিন্ন! এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়।’
গতকাল সকালে রেলমন্ত্রী জানান, ‘উড়িষ্যার বালেশ্বরের রেল দুর্ঘটনার মূল কারণ চিহ্নিত করা গেছে। ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং পরিবর্তনের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদেরও চিহ্নিত করা গেছে। নিয়ম মেনে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনার শিগগির এই তদন্তের রিপোর্ট জমা দেবেন।’
আবার দুপুরে দেখা যায় রেলের তরফেও দুর্ঘটনা নিয়ে কারণ দর্শানো হয়। রেল বোর্ডের সদস্য জয়া ভার্মা সিনহা জানান, সিগন্যালের ত্রুটির কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা নিশ্চিত করা গেছে। তবে বিস্তারিতভাবে বলা যাবে, আরও তদন্ত করার পরই। একই ঘটনায় ভিন্ন মত কেন, প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলেই।
এমনকী মমতার ‘অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস’ তত্ত্বও খারিজ করে দেওয়া হয়। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল রেলমন্ত্রী আমার সঙ্গে ছিলেন। আমি যখন অ্যান্টি কলিশন ডিভাইসের কথা মেনশন করেছিলাম, তখন কেন কিছু বলেননি। কেন মাথা নেড়েছিলেন। এখন দু’ধরনের রিপোর্ট সামনে আসছে। নিজেদের মধ্যেই মতের পার্থক্য আছে। ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। আমি চাই সত্যি সামনে আসুক।’