শুক্রবার উড়িষ্যার বালেশ্বরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। যার ফলে গোটা এলাকা কার্যত মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই তা ৩০০ ছু্ঁইছুঁই। আহতও হয়েছেন বহু মানুষ। তবে নিখোঁজের তালিকাটাও নেহাত ছোট নয়। যেমন চারদিন পরেও খোঁজ নেই মুরারইয়ের তিন শ্রমিকের। সেই খবর কানে যেতেই বীরভূমের মুরারই থানার কনকপুর গ্রামে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় নিখোঁজদের বাড়িতে পৌঁছন মুরারইয়ের বিধায়ক মোশারফ হোসেন। তাঁদের পরিবারকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার চার দিন পরেও কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বীরভূমের পাইকর থানার কনকপুর গ্রামের তিন যুবক সানাউল সেখ, রফিকুল সেখ ও শান্ত সেখের। পরিবারের সদস্যরা তাঁদের সঙ্গে ফোনে সমানে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। প্রশাসনের তরফেও যোগাযোগের চেষ্টা হয়েছে। ফোন করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট হেল্প লাইন নম্বরেও। হাসপাতালগুলির সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। পরিবারের এক সদস্যদের দাবি, ‘অনেক বার ফোন হচ্ছে। কখনও বাজছে, বাজছে না। কোনও একটা খবর পেতে চাইছে আমরা। বাড়ির লোকের মুখ দেখা যাচ্ছে না।’ খোঁজ পেতে পরিজনদের অনেকে বালেশ্বর পর্যন্ত পৌঁছেছেন। কিন্তু এখনও কোনও আশার আলো দেখা যায়নি।
