এবার শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা নিয়ে শীর্ষ আদালতে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটা এই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৩০০-এর কাছাকাছি। আহত হয়েছেন ১১০০-র বেশি। দুর্ঘটনার পর রেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা জোরদার তা নিয়ে পর্যালোচনার জন্য এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে একটি কমিশন গড়ার আর্জি জানানো হয়েছে। আর্জিতে বলা হয়েছে, রেলের বর্তমান নিরাপত্তার বিষয়, নিরাপত্তার উন্নতিতে পদ্ধতিগত ব্যবস্থা নেওয়া, সেই ব্যবস্থার মডিফিকেশন করা এবং এ সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেবে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সেই কমিটি।
পাশাপাশি, রেলের নিরাপত্তা ও যাত্রী সুরক্ষার বিষয়টি পর্যালোচনার পাশাপাশি অটোমেটিক ট্রেন প্রোটেকশন সিস্টেম (এটিপি), যা কবচ নামে পরিচিত তা বাস্তবায়নের বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনার আবেদনও করা হয়েছে এই জনস্বার্থ মামলায়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিশাল ইয়ারি এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। সেই পিটিশনে উল্লেখিত হয়েছে, রেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও যাত্রী নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে রেলওয়ে সেফটি কমিশন ২ মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিক আদালতে। শুক্রবার সন্ধ্যায় চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস ওড়িশার বালেশ্বর জেলায় বাহানাগা বাজার স্টেশনের আগে লাইনচ্যুত হয়। তা হলে তা ধাক্কা মারে লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িতে। এর পর সেই লাইনচ্যুত এক্সপ্রেসের বগিতে ধাক্কা মারে হাওড়াগামী হামসফর এক্সপ্রেস। রেলের প্রাথমিক তদন্তে উঠেছে, রেললাইনে পয়েন্টে গন্ডগোলের জেরেই মেন লাইনে ছেড়ে লুপ লাইনে ঢুকে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস। দ্রুত গতিতে থাকা করমণ্ডল এক্সপ্রেস লুপ লাইনে ঢুকতেই ঘটে দুর্ঘটনা। কী ভাবে এই গাফিলতি হল, রেল তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে।