এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। উড়িষ্যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর কেটে গিয়েছে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা। তারপরেও স্বাভাবিক হয়নি দক্ষিণ-পূর্ব শাখার খড়গপুর-ভদ্রক রুটে ট্রেন চলাচল। শনিবারের পর রবিবারও বাতিল বহু ট্রেন। ঘুরপথে বেশকিছু ট্রেন চালানো হবে। এমনকী, স্বল্পদূরত্বে চালানো হবে কয়েকটি ট্রেন। সবমিলিয়ে চরমে দুর্ভোগ যাত্রীদের সামনে। বিশেষ করে সমস্যায় পড়েছেন পুরীর যাত্রীরা। কারণ, হাওড়া, শালিমার থেকে পুরীগামী সমস্ত ট্রেন বাতিল হয়েছে। এমনকী, পুরী থেকে ফেরার ট্রেনও বাতিল হয়েছে। ফলে বহু পর্যটক পুরীতে আটকে পড়েছেন। দক্ষিণ পূর্ব রেল সূত্রে খবর, বাতিল হয়েছেন ৫৮টি ট্রেন। এর মধ্যে রয়েছে পুরী-শালিমার এক্সপ্রেস, পুরী-নন্দনকানন এক্সপ্রেস, পুরী-হাওড়া এক্সপ্রেস, পুরী-জলেশ্বর মেমু, পুরী-বাংরিপোসি ইন্টারসিটি এসএফ এক্সপ্রেস, দীঘা-পুরী ও শালিমার-পুরী এক্সপ্রেস।
পাশাপাশি চলবে না হাওড়া–সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস, যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেস, শালিম-হায়দরাবাদ এক্সপ্রেস, খড়গপুর-জাজপুর কেওনঝড় এক্সপ্রেস, হাওড়া-ভদ্রক এক্সপ্রেসও। ঘুরপথে চলবে হাওড়া-তিরুচিরাপল্লি এক্সপ্রেস, আগরতলা-বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসের মতো ৮১টি ট্রেন। এছাড়াও স্বল্পদূরত্বে চালানো হবে আরও ১০টি ট্রেন। তবে যাত্রীদের সুবিধার্থে হাওড়া-বালাসোর (আপ ও ডাউন) একজোড়া বিশেষ ট্রেন চালাবে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। লাইন মেরামত, স্লিপার ঠিক করা, ছিঁড়ে যাওয়া ওভারহেড, সিগন্যাল, মাস্ট সব মেরামতি করার পর ট্রেন চলাচলের সবুজ সংকেত দেবে রেল। এজন্য কম করে আরও দেড় দিন সময় লাগবে বলে শনিবার বিকেলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ওই রেলের অপারেশন বিভাগের আধিকারিকরা। দুর্ঘটনার পর শনিবার বাতিল করা হয় মোট ৫৮টি ট্রেন।