শুক্রবার উড়িষ্যার বালেশ্বরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। যার ফলে গোটা এলাকা কার্যত মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৬১ জনের। আর সেই তালিকায় রয়েছেন ছোট্টু সর্দারও। নিজেদের একটা পাকা বাড়ি হবে। এটাই ছিল ছোট্টুর স্বপ্ন। তাই বাবার সঙ্গে শ্রমিকের কাজ করতে তিনি রওনা হয়েছিলেন কেরালায়। কিন্তু গ্রামে ফিরে পাকা বাড়ি করার আশা পূর্ণ হল না তাঁর। বাবা প্রাণে বাঁচলেও করমণ্ডলের দুর্ঘটনা প্রাণ কাড়ল বছর আঠেরোর যুবকের। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ফোন করে ছেলের মৃত্যুর খবর জানান বাবা সুকলাল সর্দার। কান্নার রোল ওঠে পরিবারে।
সুকলাল সর্দার দীর্ঘদিন ধরে কেরালায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। সংসারের একটু বেশি উপার্জনের আশায় এইবার প্রথম ছেলে ছোট্টুকে সঙ্গে নিয়েছিলেন। ছোট্টুও চেয়েছিলেন বাবার ভার কিছুটা হলেও লাঘব করতে। তিনিও যদি কাজ করে তবে নিজেদের থাকার জন্য একটা পাকা বাড়ি তাড়াতাড়ি তৈরি করা যাবে। কাটোয়ার করুই গ্রাম থেকে দশ-বারোজনের একটি দল রাজমিস্ত্রির কাজ করতে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ধরে কেরালার দিকে রওনা দিয়েছিল। শুক্রবার বেলা তিনটের সময় শালিমার স্টেশন থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন ওই শ্রমিকরা। সুকলাল সর্দার ও তাঁর ছেলে ছোট্টুর সঙ্গেই ট্রেনে উঠেছিলেন গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় সর্দার, সৃষ্টি রায়, সমীর রায়। সুকলাল ও সমীর গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে সঞ্জয় সর্দার ও সৃষ্টি রায়ের এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।