ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি তথা বিজেপি নেতা ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন ও হেনস্থার অভিযোগ এনে বহুদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন ভিনেশ ফোগত, সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়ারা৷ তবে গত রবিবার সংসদ ভবন অভিযানের উদ্যোগ নিতেই আটক করা হয়েছিল দেশের এই পদকজয়ী কুস্তিগিরদের। যা নিয়ে দেশের নানা প্রান্তে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। ব্রিজভূষণের গ্রেফতারের দাবি তুলে সরব হয়েছেন কৃষক নেতারা। তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে গেছে প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মুখ খোলা। সংবাদ সংস্থাকে একটি বিবৃতিতে ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যরা কুস্তিগিরদের অনুরোধ করেছেন, এখনই কোনও কঠোর সিদ্ধান্ত না নিতে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া বার্তায় ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ীরা বলেন, ‘আমাদের দেশের কুস্তিগিরদের সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়েছে, তা দেখে আমরা মর্মাহত। বহু কষ্টে অর্জিত পদক গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার যে ভাবনা কুস্তিগিরদের মধ্যে এসেছে সেটা দেখে আমরা চিন্তিত। বহু দিনের পরিশ্রমের পর পদক জিতেছে তারা। অনেক ত্যাগ করতে হয়েছে এই পদক পেতে। আমরা অনুরোধ করব এমন কোনও বড় পদক্ষেপ যেন তারা না করে। আশা করব খুব তাড়াতাড়ি বিচার পাবে কুস্তিগিরেরা। দেশের আইনের উপর ভরসা রাখুক তারা।’ উল্লেখ্য, এর আগে সুনীল ছেত্রী, নীরজ চোপড়ারা মুখ খুললেও নামী কোনও ক্রিকেটারকে মুখ খুলতে দেখা যায়নি। সেই জায়গায় বিশ্বজয়ীদের বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ।
অন্যদিকে, আগামী ৯ জুনের মধ্যে অভিযুক্ত কর্তা ব্রিজভূষণ শরণ সিংহকে গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষক নেতারা। এ দিন মহাপঞ্চায়েতের শেষে নেতা রাজেশ বলেন, ‘যদি আমাদের ৯ জুন যন্তর মন্তরে বসতে না দেওয়া হয়, তা হলে আন্দোলনের ঘোষণা করা হবে। ব্রিজভূষণের গ্রেফতারি চাই আমরা। আর কোনও রকম আপসের রাস্তায় হাঁটতে রাজি নই। যদি ব্রিজভূষণকে গ্রেফতার না করা হয়, তা হলে ৯ জুন যন্তর মন্তরে যাব। দেশ জুড়ে পঞ্চায়েত আয়োজন করা হবে। কুস্তিগিরদের বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে তা এখনই প্রত্যাহার করতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব ব্রিজভূষণকে গ্রেফতার করতে হবে।’