শুক্রবার উড়িষ্যার বালেশ্বরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। যার ফলে গোটা এলাকা কার্যত মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৬১ জনের। আহত ৯০০-র বেশি মানুষ। যার মধ্যে রয়েছেন এ রাজ্যের একাধিক মানুষও। বাংলার একাধিক গ্রামে উদ্বেগ আর উৎকন্ঠার ছবি দেখা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তৎপর রাজ্য প্রশাসন। ঘটনার পরই কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলাগুলি থেকে নির্দিষ্ট সময় অন্তরও খবর নেওয়া হচ্ছে নবান্নের তরফে।
জানা গিয়েছে, ঘটনার পরই নবান্ন থেকে একটি ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যার নম্বর হল 033-22143526 ও 033-22145185। সিনিয়র আইএএস অফিসাররা ২৪ ঘণ্টা উপস্থিত থেকে সেই কন্ট্রোল রুম সামলাচ্ছেন। প্রতি এক ঘণ্টায় পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে ব্লক ও জেলাস্তরের অফিস থেকে। উল্লেখ্য, শুক্রবারই বালেশ্বরে পৌঁছেছেন এ রাজ্যের সিনিয়র আইএএস অফিসারেরা। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এবং একজন এসডিপিও সহ একটি বিশেষ দল শুক্রবার রাত থেকে বালেশ্বরে ক্যাম্প করছেন। সেখান থেকে বাংলার যাত্রীদের সাহায্য করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাংলা থেকে পাঠানো হয়েছে ৩৪ জন চিকিৎসক, ১০টি বাস, ২০টি মিনি-ট্রাক এবং ৭০টি অ্যাম্বুলেন্স। পুলিশের দুটি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপও বালেশ্বর যাচ্ছে। ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে উড়িষ্যার সঙ্গে সমন্বয় করতে মুখ্যসচিব সব জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এদিকে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে বালেশ্বরে পৌঁছেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।