শুক্রবার ভয়াবহ দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস। উড়িষ্যার বালেশ্বর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বাহানাগা স্টেশনের কাছে একটি মালগাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা খায় ট্রেনটি। মোট ১৮টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। আহত বহু মানুষ।।ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। দুর্ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাস্থলে যাচ্ছে রাজ্যের প্রতিনিধিদল। নবান্নে চালু বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর।
এদিন টুইটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, “বালাসোরের কাছে একটি মালগাড়ি এবং শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। আমরা ওড়িশা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। নবান্নে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। নম্বরটি হল: ০৩৩-২২১৪৩৫২৬/২২৫৩৫১৮৫। রাজ্য থেকে ৫-৬ জনের একটি প্রতিনিধিদল দুর্ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছে। মুখ্যসচিব, অন্যান্য শীর্ষস্তরীয় আধিকারিকদের মতো আমিও পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছি।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পাওয়ামাত্র জরুরি বৈঠকও করেন মুখ্যসচিব। তিনি জানান, মানস ভুঁইয়া, দোলা সেন-সহ পাঁচ-ছ’জন প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। রেলের তরফেও বেশ কয়েকটি হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে। শালিমারের হেল্পলাইন নম্বরটি হল ৯৯০৩৩৭০৭৪৬। হাওড়া: (০৩৩)২৬৩৮২২১৭। খড়গপুর: ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯। বালেশ্বর: ৮২৪৯৫৯১৫৫৯, ৭৯৭৮৪১৮৩২২। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে উদ্ধারকারী দল ও মেডিক্যাল টিম। গ্যাস কাটার দিয়ে দরজা, জানলা কেটে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। রেল সূত্রে খবর, এই দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন ১৩২ জন। তাঁরা প্রত্যেকেই স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রত্যেকের শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক। এই দুর্ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই বাতিল ঘোষিত হয়েছে একাধিক ট্রেন।