শুক্রবার উড়িষ্যার বালেশ্বরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। যার ফলে গোটা এলাকা কার্যত মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৬১ জনের। আর সেই তালিকায় রয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানার বড়শুলের বাসিন্দা সফিক কাজি’ও। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়েছে তাঁর। পরিবারের একমাত্র রোজগেরের মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই শোকে পাথর পরিবারের সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, পেটের তাগিদে ভিনরাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন সফিক কাজি। বাড়িতে রয়েছেন বাবা, মা, স্ত্রী ও বছর পাঁচেকের সন্তান। রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজে যাচ্ছিলেন ভিনরাজ্যে। সঙ্গে ছিলেন আরও একজন। শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চড়েই যাচ্ছিলেন গন্তব্যে। ওই ট্রেনে চড়েই শেষবার ভিডিও কল করেছিলেন সফিক। কথা হয়েছিল স্ত্রীর সঙ্গে। জানিয়েছিলেন কাজ মিটিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়ি ফিরে আসবেন। কিন্তু তারপরই বিপত্তি। মুহূর্তেই সব শেষ।
বাড়িতে ফোন করেন সফিকের সঙ্গী। তিনিই জানান দুঃসংবাদ। ছেলের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে শোকে পাথর সফিকের বাবা। তিনি জানান, যে রাজমিস্ত্রির সঙ্গে সফিক যাচ্ছিলেন তিনি ফোনে মৃত্যুসংবাদ জানান। মা-ও যেন ছেলের মৃত্যু সংবাদ নিয়ে কোনও কথাই বলতে পারছেন না। কীভাবে সংসার চলবে, কেমন করে যে সন্তানকে বড় করে তুলবেন তিনি, তা ভেবে দিশাহারা বছর পঁচিশের সফিক কাজির স্ত্রী। আপাতত দেহ ফেরার অপেক্ষায় গোটা পরিবার।