ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি তথা বিজেপি নেতা ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন ও হেনস্থার অভিযোগ এনে বহুদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন ভিনেশ ফোগত, সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়ারা৷ তবে গত রবিবার সংসদ ভবন অভিযানের উদ্যোগ নিতেই আটক করা হয়েছিল দেশের এই পদকজয়ী কুস্তিগিরদের। যা নিয়ে দেশের নানা প্রান্তে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। যদিও ভিন্ন চিত্র রাম জন্মভূমি অযোধ্যায়। সেখানে সাধু সমাজের একাংশ মনে করে বিজেপি সাংসদ নির্দোষ। তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে যৌন হয়রানির অভিযোগে জেলে পোরার চেষ্টা হচ্ছে। এখানেই থেমে না থেকে সোমবার সরযূ নদীর তীরে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেছে সাধু সমাজ!
প্রসঙ্গত, ব্রিজভূষণের লোকসভা কেন্দ্র কেইসরগঞ্জ হল অযোধ্যার লাগোয়া। রাম জন্মভূমির সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক যোগও দীর্ঘদিনের। রামমন্দির আন্দোলন ও বাবরি মসজিদ ধ্বংসে মুখ্য করসেবকদের একজন তিনি। অযোধ্যায় সাধু সমাজকে নিয়মিত দানধ্যান করে থাকেন তিনি। তবে ব্রিজভূষণ কেন হঠাৎ করে অযোধ্যার সাধু সমাজের দ্বারস্থ হলেন তা নিয়ে বিজেপির অন্দরেও চর্চা শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে শীর্ষ নেতৃত্বের পরামর্শেই বৃহস্পতিবার অযোধ্যায় পৌঁছে গেছেন কুস্তি ফেডারেশনের কর্তা। কারণ, বৃহস্পতিবারই পাঞ্জাব ও হরিয়ানার একাধিক প্রভাবশালী কৃষক সংগঠন কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলনের ধাঁচে কুস্তিগীরদের আন্দোলনের পাশে থাকার কথা ঘোষণা করেছে। তাই পাল্টা অযোধ্যার সাধু সমাজকে পাশে নিতে উদ্যোগী হয়েছেন যৌন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত নেতা।
