এবার শুভেন্দু অধিকারীর কেন্দ্র নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েই তাঁকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী দলনেতাকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা থাকলে এখনই ভোট হোক। আদালত রায় দিলে এখনই যদি ভোট হয় তবে ৫০ হাজারে জিতবে তৃণমূল।’ একইসঙ্গে শুভেন্দুকে গদ্দার, মীরজাফর, বেইমান, তোলাবাজ, ঘুষখোর আখ্যা দিয়ে অভিষেকের কটাক্ষ, লোডশেডিংয়ে জিতে বিধায়ক হয়েছেন শুভেন্দু।
গতকাল কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড বলেন, ‘সিবিআই ইডি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। আপনারা মেরুদণ্ড শক্ত করে লড়াই করুন। ও আর ঘর থেকে বেরোতে পারবে না। আর ও এখানে এসে ভয় দেখালে ঘিরে রেখে আমায় খবর দেবেন। কলকাতা থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে চলে আসব। আপনাদের পাশে থাকব। আমি এক কথার ছেলে। আমার শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে আপনাদের পাশে থাকব।’ তাঁর সাফ কথা, ‘এ মাটি গদ্দারের মাটি নয়, বেইমানের মাটি নয়। নন্দীগ্রামের মাটি লড়াইয়ের মাটি।’
এখানেই না থেমে অভিষেক আরও বলেন, ‘এই ভিড় দেখে আমার বিশ্বাস, আমি নিশ্চিত যে, আগামিদিনে বাংলার রাজনীতি দূষণমুক্ত হতে চলেছে। নন্দীগ্রামে শান্তির মাটি। এখানে গদ্দারদের জমানত জব্দ হতে চলেছে। যে সাহস নিয়ে মানুষ পদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন, সেই সাহস দেখিয়ে লড়াই করুন। আপনাদের গায় হাত পড়লে আমি নিজে আসব। আপনারা যদি চান ওর বাড়ি ঘেরাও করুন।’ এর পরই শুভেন্দুকে তাঁর চ্যালেঞ্জ, ‘এখানে তো লোডশেডিংয়ে জিতেছিল। ক্ষমতা থাকলে রাত ৯টায় তেঙ্গুয়া মোড়ে মিছিল করুক।’
বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে অভিষেক বলেন, ‘বিজেপির মেয়াদ তো আর এক বছর। যে ইডি-সিবিআই দিয়ে গদ্দার ভয় দেখাচ্ছে, তাকেই সিবিআই গ্রেফতার করবে। তাকিয়ে দেখবেন যত দিন যাচ্ছে মুখ ফুলে যাচ্ছে। চোখে ভয়ের বাসা। পা থেকে মাথা পর্যন্ত শরীরে বেইমানি। মুখে হতাশা।’ শুভেন্দুকে দিল্লির ক্রীতদাস আখ্যা দিয়ে তাঁর কটাক্ষ, ‘এই দিল্লির ক্রীতদাসকে ভয় পাবেন না।’ এরপরই স্লোগান তুলে অভিষেক বলেন, গদ্দার হঠাও নন্দীগ্রাম বাঁচাও, বেইমান হঠাও নন্দীগ্রাম বাঁচাও, মীরজাফর হঠাও নন্দীগ্রাম বাঁচাও, শুভেন্দু হঠাও নন্দীগ্রাম বাঁচাও, তোলাবাজ হঠাও নন্দীগ্রাম বাঁচাও, ঘুষখোর হঠাও নন্দীগ্রাম বাঁচাও।