বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় গলায় মাঞ্জা সুতো আটকে ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিলেন এক ফুড অ্যাপের ডেলিভারি বয়। তাঁর চাকরি বাঁচাতেই খোদ পুলিশ কর্মী করলেন খাবার ডেলিভারি!
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার কতজা ভাইরাল হতেই পুলিশের পঞ্চমুখ নেটিজেনরা।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে ঘুড়ির মাঞ্জা সুতো গলায় আটকে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন এক যুবক। খাবার ডেলিভারির কাজ করা ওই যুবক উদ্ধশ্বাসে বাইক চালিয়ে গ্রাহকের করা অর্ডার পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। আর তখনই রাস্তার ওপরে পরে থাকা ঘুড়ির চিনা মাঞ্জা সুতো দেখতে না পাওয়ার কারণে বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় সুতো গলায় লেগে মুহূর্তই ক্ষতবিক্ষত হয়ে বাইক থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। দুর্ঘটনাস্থলের কিছু দূরেই ডিউটিতে ছিলেন কয়েকজন পুলিশ কনস্টেবল ও সিভিক ভলান্টিয়াররা। বাইক অ্যাক্সিডেন্টের তীব্র শব্দ শুনেই তাঁরা ছুটে আসেন।
মুহূর্তেই রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। গুরুতর আহত হয়েও ওই ডেলিভারি বয় পুলিশের কাছে কাকুতি-মিনতি করে জানান নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খাবার ডেলিভারি করতে না পারলে তাঁর চাকরি যেতে পারে। গলা থেকে রক্তে ভেসে গেলেও, বিন্দুমাত্র ভ্রূক্ষেপ না করে চাকরি বাঁচাতে খাবার ডেলিভারি করার বিষয়টি বারবার আওড়াতে থাকেন ওই জোমাটো ডেলিভারি বয়। রীতিমতো হাসপাতালের ডাক্তার ও পুলিশদের হাতে পায়ে ধরে তাকে কোনোরকমে ওষুধ লাগিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধও জানান।
আহত যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পুলিশ কর্মীদের মধ্যে একজন যুবককে আশ্বস্ত করে বলেন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে। জোমেটো ডেলিভারি বয়ের চাকরি বাঁচাতে অবশেষে ফুড ডেলিভারি ব্যাগ পিঠে তুলে, নির্দিষ্ট ঠিকানায় ছুটে যান পুলিশ কর্মী স্বয়ং। তবে প্রথম অবস্থায় অনলাইনে খাবার অর্ডার করা ওই গ্রাহক অবাক হয়ে গেলেও গোটা ঘটনা শুনে পুলিশ কর্মীর ভূমিকাকে রীতিমতো কুর্নিশ জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ফুড ডেলিভারি বয়ের সুস্থতাও কামনা করেন। পুলিশের ফুড ডেলিভারি করার সেই মুহূর্তের ছবি পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যেতেই পুলিশ কর্মীর মানবিকতাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন বহু মানুষ।