এবার হকিতে জুনিয়র এশিয়া কাপের খেতাব জিতল ভারত। বৃহস্পতিবার প্রতিযোগিতার ফাইপালে পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-২১ দলকে ২-১ ব্যবধানে হারাল ভারতের অনূর্ধ্ব-২১ দল। প্রায় পুরো ম্যাচ জুড়েই কর্তৃত্ব বজায় রেখেছিল দাপট ছিল ভারত। প্রথম কোয়ার্টারেই ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় তারা। সুনীত লাকরার উঁচু করে নেওয়া একটি শট ফাঁকায় পেয়ে যান আদিত্য। তিনি বল দেন ধরে ‘ডি’-এর মধ্যে থাকা স্ট্রাইকার আরাইজিৎ সিংহকে। তাঁর নেওয়া শট পাক গোলরক্ষক আটকালেও লাভ হয়নি। ফিরতি বলে দুরন্ত শটে গোল করেন অঙ্গদ বীর সিংহ। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে আবার গোল করে ভারত। এ বার অঙ্গদের কাছ থেকে বল পেয়ে গোল করেন আরাইজিৎ। একাধিক পেনাল্টি কর্নার পেলেও প্রথম দুই কোয়ার্টারে গোল করতে পারেনি পাকিস্তান। ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর তৃতীয় কোয়ার্টারে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ান পাক খেলোয়াড়রা। এই সময় পাকিস্তানের হয়ে ব্যবধান কমান বাশারত আলি। ব্যবধান কমানোর পর সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে পাকিস্তান। চাপ বাড়ে ভারতীয় রক্ষণের উপর। এই সময় প্রায় দুর্ভেদ্য হয়ে ওঠেন ভারতীয় দলের গোলরক্ষক মোহিত। বেশ কয়েকটি ভাল সেভ করেন তিনি। শেষ দিকে ব্যবধান বৃদ্ধির সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি ভারত।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ওমানের সালালাহে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় ফাইনালের আগে গ্রুপ পর্বেও মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। ২৭শে মে-র সেই ম্যাচে এগিয়ে থেকেও জিততে পারেনি ভারত। খেলা শেষ হয়েছিল ১-১ গোলে। গ্রুপে একটিও ম্যাচ হারেনি দুই দল। ১০ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল উভয়েই। গোল পার্থক্যে গ্রুপ শীর্ষে ছিল ভারত। পাকিস্তান ম্যাচ বাদে গ্রুপের বাকি ম্যাচগুলিতে বড় ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। চাইনিজ তাইপের বিরুদ্ধে ১৮-০ ব্যবধানে, জাপানের বিরুদ্ধে ৩-১ ব্যবধানে জিতেছিল ভারতীয় দল। থাইল্যান্ডকে ১৭-০ ব্যবধানে হারায় ভারত। পাকিস্তানও গ্রুপ পর্বে যথেষ্ট দাপট দেখিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছিল। চাইনিজ তাইপেকে ১৫-১ গোলে, থাইল্যান্ডকে ৯-০ গোলে এবং জাপানকে ৩-২ গোলে হারিয়েছিল তারা। সেমিফাইনালেও কঠিন লড়াইয়ের সামনে পড়তে হয়নি ভারত এবং পাকিস্তানকে। শেষ চারের লড়াইয়ে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৯-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল ভারতের অনূর্ধ্ব ২১ হকি দল। মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে পাকিস্তান জয় পেয়েছিল ৬-২ ব্যবধানে। ফাইনালের আগে পর্যন্ত পাঁচটি ম্যাচ খেলে ভারত গোল করেছিল ৪৮টি। ভারতের বিপক্ষে গোল হয়েছিল ৩টি। অন্য দিকে, সমসংখ্যক ম্যাচে পাকিস্তান গোল করেছিল ৩৪টি। ৬টি গোল হজম করতে হয়েছে তাদের।
