বলত, নন্দীগ্রামের মাটি অধিকারীর মাটি। কিন্তু ওদের কোনও ক্ষমতা নেই৷ এবার
নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘গদ্দারদের অবসান হতে চলেছে আগামী দিনে। আপনার গায়ে হাত পড়লে আমি আসব৷ আগামী দিনে এক ছটাক জমি দেবেন না৷ যদি দম থাকে, ২০ কিমি রাস্তায় মিছিল করে দেখাও৷ রাতের বেলা জনগণ নিয়ে মিটিং করো।’
এরপরেই গোটা অধিকারী পরিবারকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড বলেন, ‘বলত, এই মাটি, নন্দীগ্রামের মাটি, অধিকারীর মাটি। সাহস সঞ্চয় করে লড়াই করুন৷ ওদের কোনও ক্ষমতা নেই৷ কেউ বিজেপি নেতা ভয় দেখালে বাড়ি ঘেরাও করবেন আমি আসব৷ লোডশেডিংয়ে জেতা নেতা৷ নাহলে ওই ফল হয় না৷ আদালতের রায়ে আবার পুনঃনির্বাচন হলে ৫০ হাজার ভোটে জিতব। বিজেপির মেয়াদ আর একবছর৷ নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলে যিনি দাবি করেন, তিনি ২০ কিমি হাঁটতে পারবেন?’
অভিষেকের দাবি, ‘মানুষ আগামীদিনে জবাব দেবে। কোনও মীরজাফরের ক্ষমতা নেই, আপনাদের টাকা আটকে রাখা। নন্দীগ্রাম মীরজাফরদের ভূমি নয়৷ এটা আন্দোলনের ভূমি৷ এরা যদি ভাবে সি আর পি এফ দিয়ে ভয় দেখাবে, জবাব দেবেন। এই তো চন্ডীপুরে কনভয়ের গাড়ি ধাক্কা মেরেছে৷ গাড়িতে ধাক্কা লাগতে পারে, কিন্তু মানবিকতা থাকবে না? ক্ষমতায় না এসেই এই অবস্থা?’
নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়া মোড়ে অভিষেক তাঁর রোড শো থেকে তুমুল আক্রমণ শানিয়ে স্লোগান তোলেন, ‘ঘুসখোর, তোলাবাজ, গদ্দার শুভেন্দু অধিকারী হটাও৷ মীরজাফর, বেইমান, দিল্লির ক্রীতদাস হাটাও।’ শুভেন্দু-সহ গোটা গেরুয়া শিবিরের উদ্দেশে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘আজ ট্রেলার দেখালাম৷ তিন মাস পরে নন্দীগ্রামে বাকি সিনেমা দেখাব৷ অনেক ইডি, সিবিআই দেখিয়ে আমায় ভয় দেখিয়েছো৷ আজ ট্রেলার দেখালাম, বাকি সিনেমা বাকি হ্যায়৷ তিন মাস পরে দেখাব৷’