এবার থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনকারীকে আর তা নিতে আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের অফিসে আসতে হবে না। কারণ দিনে ১০ হাজার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ব্লু বুক ছাপিয়ে ডাকযোগে তা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেবে রাজ্য। বৃহস্পতিবার বেলতলায় পাবলিক ভেহিকলস ডিপার্টমেন্টের অফিসে এই পরিষেবার উদ্বোধন করলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহণ রাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল, দপ্তরের প্রধান সচিব সৌমিত্রমোহন-সহ অন্য আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, নয়া লাইসেন্স ও ব্লু বুক হচ্ছে কিউআরকোড যুক্ত। তাতে থাকছে চিপ এবং রাজ্য সরকারের ওয়াটার মার্কও। দেশের যে কোনও প্রান্তে এই কার্ডের বৈধতা থাকবে বলে জানানো হয়েছে। কারণ, মেট্রোর ধাঁচের একটি স্মার্ট কার্ডেই ধরা থাকবে যাবতীয় তথ্য। ফলে রাস্তায় গাড়ি ধরলে ট্রাফিক পুলিশ বা মোটর ভেহিক্যালস ইন্সপেক্টররা মোবাইলে কিউআর কোড স্ক্যান করেই জানতে পেরে যাবেন চালক এবং গাড়ি সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য। লাইসেন্সের ক্ষেত্রে দেখা যাবে ওই চালক অতীতে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন কি না। কী কী কেস রয়েছে তাঁর নামে।
আর ব্লু-বুকের ক্ষেত্রে পেয়ে যাবেন, গাড়ি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য। ডিলারের নাম, পলিউশন, ফিটনেস সার্টিফিকেট, ইনসিওরেন্স ইত্যাদি ঠিক আছে কি না। কোনও ব্যক্তি গাড়ি রেজিস্ট্রেশন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেজিস্ট্রেশনের পেপার প্রিন্টিং পাবেন। আর দু’দিনের মধ্যে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যাবে কিউআর কোড দেওয়া ল্যামিনেটেড লাইসেন্স এবং গাড়ি রেজিস্ট্রেশনের ব্লু বুক। মন্ত্রী এদিন বলেন, ‘যাদের পুরনো কাগুজে লাইসেন্স রয়েছে, তাঁরাও আবেদন করে তা বদলে অত্যাধুনিক স্মার্ট কার্ডের লাইসেন্স ও ব্লু বুক করিয়ে নিতে পারেন।’