এক নয়, দুই নয়, তিনও নয়! কেটে গিয়েছে দীর্ঘ চার দশক! বিগত ১৯৮১ সালে ১০ জন দলিতকে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। বিচার হতে হতে অতিক্রান্ত হয়েছে ৪০ বছরেরও বেশি সময়। অবশেষে ৯০ বছর বয়সে সাজা ঘোষণা হল গঙ্গা দয়ালের। তার যাবজ্জীবন কারাবাসের ঘোষণা করল ফিরোজাবাদ জেলা আদালত। সঙ্গে ৫৫ হাজার টাকার জরিমানাও হয়েছে। অনাদায়ে ১৩ মাস অতিরিক্ত কারাবাসের কথা বলা হয়েছে। উল্লেখ্যর ৪২ বছর আগের সেই ঘটনায় কার্যত তোলপাড় হয়েছিল সারা দেশ। সরকারি আইনজীবী রাজীব উপাধ্যায় জানিয়েছেন, ১৯৮১ সালে উত্তরপ্রদেশের সাদুপুর গ্রামের সেই হিংসার স্মৃতি আজও অনেকের মনে অক্ষত। নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল ১০ জনকে। জখম হয়েছিলেন ২ জন। তদন্তে অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে এসেছিল দয়া মঙ্গল-সহ ১০ জনের। তাদের বিরুদ্ধে ৩০২ এবং ৩০৭ ধারায় মামলা রুজু হয়।
প্রসঙ্গত, প্রথমে মৈনপুরী আদালতে বিচার শুরু হয়। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে ফিরোজাবাদের আদালতে সরানো হয় মামলা। সেই মামলাই চলেছে বছরের পর বছর ধরে। একে একে অভিযুক্তরা সবাই মারা গিয়েছে। একমাত্র ৯০ বছরের দয়া মঙ্গলই এখনও বেঁচে। শেষমেশ শাস্তি ঘোষণা হল তার বিরুদ্ধে। নিহত দলিতদের এক আত্মীয় মহারাজ সিংহ বলেন, ঘটনার সময়ে তাঁর জন্ম হয়নি। কিন্তু তিনি ছোটবেলা থেকেই শুনে এসেছেন সেদিনের সেই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কথা। তাঁর পরিবারের চারজনকে মেরেছিল দয়া ও তার সঙ্গীরা। প্রতিবেশীদের মধ্যে খুন হয়েছিলেন আরও ৬ জন। “৪২ বছর লেগে গেল বিচার হতে। মাত্র একজন অভিযুক্ত বেঁচে আছে। এমনকী সেদিন আমার পরিবারের যাঁরা প্রিয়জনকে হারিয়েছিলেন, তাঁরাও কেউ বেঁচে নেই। তাঁরা দেখে যেতে পারলেন না এই সাজা”, জানিয়েছেন মহারাজ সিংহ।
