চেনা ছন্দেই দেখা গেল নোভাক জোকোভিচকে। খেলার শুরুতে প্রতিপক্ষের ঘাম ঝরিয়ে, শেষের দিকে তাকে নাজেহাল করে ফরাসি ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছে গেলেন সার্বীয় টেনিস তারকা। বুধবার রাতের ম্যাচে হাঙ্গেরির মার্টন ফুসোভিসকে ৭-৬, ৬-০, ৬-৩ গেমে হারালেন তিনি। কিন্তু বিতর্ক জোকোভিচের পিছু ছাড়ল না। কসোভো সম্পর্কে তাঁর বার্তা নিয়ে সমালোচনা চলছেই। যদিও বিতর্ক পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে চান তিনি। টেনিস সংস্থাকেও পাশে পেয়েছেন জোকোভিচ। এদিন প্রথম সেটে প্রবল লড়াই করতে হল তাঁকে। দ্রুত ৩-০ গেমে এগিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ফুসোভিস ম্যাচে ফেরত এসে তিনটি ব্রেক পয়েন্ট পান। জোকোভিচ সেগুলি বাঁচালেও লাভ হয়নি। সার্বিয়ার খেলোয়াড়কে একাধিক বার ব্রেক করে ৫-৫ করে দেন ফুসোভিস। অনামী বিপক্ষের কাছে এমন প্রতিরোধ পেয়ে কিছু সময়ের জন্য মেজাজ হারিয়েছিলেন জোকোভিচ। কিন্তু টাইব্রেকারে সেট জিতে নেন তিনি। ১ ঘণ্টা ৩২ মিনিট চলে প্রথম সেটটি।
দ্বিতীয় সেটের প্রথম গেমেই ফুসোভিসকে ব্রেক করেন জোকোভিচ। এর পর আর তাঁকে দাঁড়াতে দেননি তিনি। দ্বিতীয় সেটে একটিও গেম জিততে পারেননি ফুসোভিস। এরপর তৃতীয় সেটেও অনায়াসে বাজিমাত করেন ‘জোকার’। ম্যাচের পর বলেন, “পাশে থাকার জন্যে সবাইকে ধন্যবাদ। আশা করি আজ আমার খেলা দেখে, বিশেষ করে প্রথম সেট দেখে সবাই মজা পেয়েছেন। আমি অবাক হইনি। ফুসোভিসকে আগে থেকেই চিনি। সব ধরনের কোর্টে সমান ভাবে খেলতে পারে ও।” ম্যাচের পর আবার ক্যামেরার লেন্সে সই করেন তিনি। তবে এ বার আর কোনও রাজনৈতিক বার্তা ছিল না। প্রথম রাউন্ডে জেতার পর জোকোভিচ এ ভাবেই ক্যামেরার লেন্সে লিখেছিলেন, ‘‘কসোভো সার্বিয়ার হৃদয়ে রয়েছে।’’ এই বার্তা নিয়ে প্রচুর জলঘোলা, সমালোচনা হয়। সেই নিয়ে এ দিনের ম্যাচের পর জোকোভিচকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। “আমি আবার একই কথা বলতে পারি। কিন্তু আর বলতে চাই না। অনেকেই হয়তো আমার কথার বিরোধিতা করবেন। তাতে আমার কিছু করার নেই। যে কথা আমি বিশ্বাস করি সেটাই লিখেছি। আর কিছু বলতে চাই না। যা বলার বলে দিয়েছি”, উত্তরে স্পষ্ট জানান সার্বীয় তারকা।