ভোটের আগে প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিলেও ভোট ফুরালে একটাও কথা রাখেন না। খেজুরির মানুষকে শুধুই নিজেদের পদ বাড়াতে ব্যবহার করেছেন বাপ-বেটার। বুধবার রসুলপুর নদীর তীরে খেজুরির বোগায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে পেয়ে শিশির অধিকারী এবং শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এভাবেই দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ উগরে দিলেন এলাকার মৎস্যজীবিরা।
কাঁথির পনেরো বছরের সাংসদ শিশির অধিকারী এবং খেজুরির বর্তমান বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিকের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ করেন সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবিরা। বলেন, ‘চার বছর আগেও ফের ভোট চাইতে এসে এই রসুলপুর নদীতে সেতু বানিয়ে দেবেন বলেছিলেন শিশিরবাবু। বাবার পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচনের সময় ছেলে শুভেন্দুও এসে শান্তনুর হয়ে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের অনেক কিছু পাইয়ে দেব বলে ভোট নিয়ে গেল। এত বছরে বিধানসভা বা লোকসভা, কোথাও আমাদের জন্য কেউ কিছু বলেননি। ফেরিঘাট সংস্কার হয়নি। শুধু মৎস্যজীবীদের জন্য বছর খানেক আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিমা কার্ড করে দেওয়ায় এখন কিছু সুবিধা পাচ্ছি।’
সঙ্গে সঙ্গে কার্ড হাতে নিয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন অভিষেক। এভাবেই প্রায় চল্লিশ মিনিট খেজুরির বোগায় মৎস্যজীবীদের সঙ্গে মুখোমুখি বসে একের পর এক অভিযোগ ও তাঁদের সমস্যা এবং দুর্ভোগের কথা মন দিয়ে শোনেন তিনি। যোগাযোগের জন্য গোড়াহারের রবীন বর, অলিচকের মলয় দাস, নিজকসবার সোমনাথ গিরিদের ফোন নম্বর নিয়ে নেন। কারণ, এরাই একে একে শিশির ও শুভেন্দুদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কথা অভিষেককে সামনে পেয়ে অভিযোগ করেছিলেন। প্রত্যেকটি অভিযোগ ও সমস্যা শুনে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড।