সারা বাংলা জুড়ে চলছে তৃণমূলের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচি। জনসংযোগ আরও দৃঢ় করতে জেলায় জেলায় পাড়ি দিচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ পদযাত্রা সারলেন তিনি, যা ইতিমধ্যেই বিপুল সাড়া ফেলেছে। আর এ নিয়ে আলোচনা শুধু রাজ্যের গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধই নেই। নন্দীগ্রামে অভিষেকের কর্মসূচিতে জনজোয়ার নিয়ে আলোচনা হচ্ছে গোটা দেশে। সোশ্যাল মিডিয়ার রিপোর্টেই তার প্রমাণ মিলেছে। বৃহস্পতিবার সকালে ভারতে রাজনৈতিক বিষয়গুলির মধ্যে টুইটার ট্রেন্ডে সবার শীর্ষে উঠে এসেছিল অভিষেকের কর্মসূচি। বস্তুত দিনভর সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা চলেছে নন্দীগ্রামে জনজোয়ার নিয়ে। দীর্ঘ ২০ কিলোমিটার পদযাত্রা শুরুর আগে অভিষেক নিজেই মানুষের আশীর্বাদ চেয়ে টুইট করেছিলেন। সুর বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সেখানেই। অভিষেকের সেই টুইটের আগে ও পরে হাজার হাজার টুইট হয়েছে তাঁর কর্মসূচি নিয়েই।
উল্লেখ্য, একটা সময় #NandigrameJonoJowar টুইটার ট্রেন্ডের একেবারে শীর্ষ উঠে গিয়েছিল। দিনভর একের পর এক টুইট হয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কর্মসূচি নিয়ে। অর্থাৎ অভিষেককে নিয়ে আলোচনা করছেন সারা দেশের মানুষ। বাংলার রাজনীতির কারবারিদের মতে, দেশজুড়ে রাজনৈতিক চিত্র যখন ঘটনাবহুল, তখন টুইটার ট্রেন্ডে অভিষেকের শীর্ষে উঠে আসাটাই প্রমাণ করে, বাংলা তথা ভারতবাসীর কাছে কতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। অভিষেকের এই নন্দীগ্রাম যাত্রাকে যে বিরোধীরা চিন্তিত, তার প্রমাণ নিজেই দিয়ে গিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামে ২০শে জুন পালটা পদযাত্রার আহ্বান করেছেন শুভেন্দু। তৃণমূলের দাবি, অভিষেকের কর্মসূচিতে ভীত শুভেন্দু ঘর বাঁচাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তৃণমূল সোশ্যাল মিডিয়া সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “এটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা এবং সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফল। এতেই বোঝা যায় নন্দীগ্রামের মাটি তৃণমূলের ঘাঁটি।” অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচির পর ওখান থেকে বিরোধীরা পুরোপুরি সাফ হয়ে বলেই দাবি দেবাংশুর।