রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে উদ্বোধন না করিয়ে কেন প্রধানমন্ত্রী নিজে করছেন, সেই প্রশ্ন তুলে এবং রাষ্ট্রপতিকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোর প্রতিবাদে ১৯টি বিজেপি-বিরোধী দল একযোগে নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করে। তবে তারপরেও সরকার ও বিরোধী পক্ষের বিবাদ থামছে না। এবার যেমন কংগ্রেস দাবি তুলেছে, সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকে প্রধানমন্ত্রী দেশের জ্বলন্ত সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনার ব্যবস্থা করুন। কংগ্রেসের দাবি, সেখানেই বিরোধীরা তাঁদের নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কটের বিষয়ে জবাবদিহি করবে।
কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা আনন্দ শর্মা বলেন, দেশে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারি অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে। জনসাধারণের এই সমস্ত বিষয় নিয়েও সংসদে আলোচনা হওয়া দরকার। শর্মা বলেন, আশা করি বিশেষ অধিবেশন ডেকে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর কাছে তাঁর গণতন্ত্রের প্রতি আস্থার প্রমাণ দেবেন এবং বিরোধীদের বক্তব্য কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হবে না। কংগ্রেসের আর এক প্রবীণ নেতা পি চিদাম্বরম চান বিশেষ অধিবেশনের আলোচ্য সূচিতে চিন সীমান্তের পরিস্থিতি রাখা হোক।
তাঁর বক্তব্য, ১৯৬২ সালে ভারত-চিন যুদ্ধের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকেছিলেন। বিগত কয়েক বছর যাবত চিন ভারতের ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে অভিযোগ করে চিদাম্বরম বলেন, কেন এই পরিস্থিতি সংসদে সরকার ব্যাখ্যা দিক। চিদাম্বরম দেশে দাঙ্গা পরিস্থিতি, ঘৃণা ভাষণ, যুক্ত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা নিয়েও সরব হয়েছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের প্রতি আস্থাশীল হলে এই বিষয়গুলি নিয়েও সংসদে জবাব দিন। তাঁর অভিযোগ, সংবিধানের মৌলিক নীতিগুলি পদে পদে পদদলিত হচ্ছে।