ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জোরপূর্বক দেশের ইতিহাসের খোলনলচে বদলে দিতে উদ্যত হয়েছে মোদী সরকার। শিক্ষাক্রম থেকে মুছে দেওয়া হয়েছে মুঘল ইতিহাস। এপ্রিল মাসে ন্যাশানাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং বা এনসিইআরটি জানায়, তাদের দ্বাদশ শ্রেণির বই থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে গোটা মুঘল সাম্রাজ্যই। সেই নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় দেশজুড়ে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই একের পর এক বিষয় সিলেবাস থেকে বাদ দিতে শুরু করেছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। আগেই কবি মহম্মদ ইকবালের জীবনী সিলেবাস থেকে বাদ দেবার সুপারিশ করা হয়েছিল। এবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্যক্রমে নতুন করে যুক্ত করা অধ্যায়গুলির মধ্যে মহাত্মা গান্ধীরও আগে নিয়ে আসা হয়েছে দামোদর বিনায়ক সাভারকারকে।
শুক্রবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বৈঠকে সাভারকার বিষয়ক এই ঐচ্ছিক অধ্যায়টি পঞ্চম সিমেস্টারে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পঞ্চম সিমেস্টারে সাভারকারের অধ্যায় যুক্ত হওয়ার ফলে মহাত্মা গান্ধির অধ্যায়টি চলে গিয়েছে সপ্তম সিমেস্টারে। স্বাভাবিকভাবেই পড়ুয়ারা মহাত্মা গান্ধির আগে সাভারকারের কথা পড়বেন। এদিকে নতুন পাঠ্যক্রমের বিরোধিতা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একাংশ দাবি জানিয়েছিলেন যেহেতু সাভারকার কিংবা আম্বেদকরের অনেক আগে গান্ধি এসেছিলেন, সেহেতু গান্ধী বিষয়ক অধ্যায় আগে থাকা উচিত। তবে সাভারকরের অধ্যায় যুক্ত হওয়ায় অধ্যাপকরা কোনও আপত্তি জানাননি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে এই বিরোধিতায় কোনও আমল দেওয়া হয়নি।