নন্দীগ্রাম রাজ্য রাজনীতিতে বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন পূর্ব মেদিনীপুর ‘নন্দীগ্রামের জেলা’ বলেই পরিচিত। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য জুড়ে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করার পর সর্ব স্তরে এটা নিয়ে কৌতূহল ছিল যে, পূর্ব মেদিনীপুরে গেলেও নন্দীগ্রামে তিনি যাবেন কি না। গেলেও কবে যাবেন। এবং সেখানে তাঁর কর্মসূচি কী হবে।
অভিষেকের দফতর এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সূত্রে সোমবার জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রা পৌঁছবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। মোট চার দিন ওই জেলায় থাকার কথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। জেলার বিভিন্ন এলাকায় তাঁর নানাবিধ কর্মসূচি রয়েছে। তার মধ্যে নন্দীগ্রামও রয়েছে।
তবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের আগে থেকেই অনুমান ছিল, অভিষেক তাঁর কর্মসূচি নিয়ে যাবেন নন্দীগ্রামে। শুভেন্দুকে তাঁর বিধানসভা এলাকায় দাঁড়িয়েই রাজনৈতিক আক্রমণ করবেন অভিষেক। তাঁদের প্রত্যাশা মতোই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার যে সমস্ত জায়গায় অভিষেকের কর্মসূচি হবে, সেই তালিকায় থাকছে নন্দীগ্রাম। মঙ্গলবার তাঁর কর্মসূচির প্রথম স্টেশন পাঁশকুড়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র। বুধবার অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রার কর্মসূচি রয়েছে পটাশপুরে। বৃহস্পতিবার তাঁর গন্তব্য হবে রামনগর। চতুর্থ তথা শেষ দিন শুক্রবার নন্দকুমারে থাকবেন অভিষেক। বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে রামনগরের কর্মসূচি সেরে তিনি যাবেন চণ্ডীপুরে। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে মিছিল করে যাবেন নন্দীগ্রামে। সেখানেই শিবিরে রাত্রিবাস করবেন তিনি।
শীর্ষনেতৃত্বের থেকে এই নির্দেশ পেয়ে সেই মর্মে প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজ্যের মন্ত্রী তথা রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি বলেন, ‘চার দিন ধরে আমরা অভিষেকের কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত থাকব। সেই কর্মসূচি অনুযায়ীই ১ জুন (বৃহস্পতিবার) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম যাবেন। তিনি সেখানে রাতে থাকবেন বলেই আমাদের জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে নেতৃত্বের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তাঁদের নির্দেশ মতোই আমরা কাজ করছি।’