২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটা ঘোষণা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। জাতীয় উদ্দেশে ভাষণে সেইদিন ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের ঘোষণা করেছিলেন মোদী। যা ঘিরে দেশ জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। বিপাকে পড়েছিলেন বহু মানুষ। এবার ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। গত ১৯ মে এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, কারও কাছে ২০০০ টাকার নোট থাকলে সেগুলি ২৩ মে থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্যাঙ্কে জমা করতে হবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী এই সময়ের মধ্যে ব্যাঙ্কগুলিতে জমা পড়বে বিপুল পরিমাণ টাকা। তাতে নগদ জোগান বাড়বে। সেক্ষেত্রে কি কমবে আমানতের ওপর সুদ? এমন প্রশ্নই এবার সামনে আসছে।
অন্যতম ক্রেডিট রেটিং সংস্থা ইক্রার বক্তব্য, নোটবন্দির সময়ে দেখা গিয়েছিল ব্যাঙ্কগুলিতে নগদ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেইসময় ব্যাঙ্কগুলিতে যেভাবে আমানত সংগ্রহের ব্যাপারে চাপ কমেছিল, এখনও তাই-ই হবে। অর্থাৎ আমানত বাড়বে। এক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলিতে আমানতের ওপর সুদ বৃদ্ধির যে চাপ থাকত, তা কমবে। ইক্রা’র দাবি, এতে স্বল্প মেয়াদি আমানতগুলির সুদের হার কমবে। উল্লেখ্য, গতবছর মে মাস থেকে গত একবছর ধরে ধাপে ধাপে ২.৫ শতাংশ রেপো রোট বাড়ায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তার জেরে ব্যাঙ্কগুলিও আমানতের ওপর সুদের হার বাড়াতে বাধ্য হয়। যা সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে সুদ যে আর কোনও ভাবেই বাড়বে না, তা স্পষ্ট জানিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া।