কিছুদিন আগেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব নবান্নে এসে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলিকে একজোট করে বিরোধী জোটের সলতে পাকানোর লক্ষ্যে সেদিনই ঠিক হয়েছিল, যে মে মাসের শেষে পাটনায় একটি বৈঠক ডাকবেন নীতীশ কুমার। যেখানে অবিজেপি দলগুলির নেতা-নেত্রীরা উপস্থিত থাকবেন। সেই মতই ১২ জুন পাটনায় বিরোধী দলগুলির বৈঠক ডেকেছেন জেডিইউ সুপ্রিমো। ওই বৈঠকের আয়োজনের ব্যাপারে নীতীশ ব্যক্তিগত ভাবে যোগাযোগ রেখে চলেছেন মমতার সঙ্গে। আর এরই মধ্যে রবিবার রাতে নতুন পোস্টার বের করে দিল তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে তাতে লেখা, দিল্লিতে পরিবর্তন চাই।
শনিবার শালবনীতে সভা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আর তো ছ’মাস। তার পর দিল্লিতে এই সরকার থাকবে না। নোট বদল, সংসদ বদল ইত্যাদি করতে করতে ওদেরই এবার বদলে দেবে জনতা।’ শনিবার মমতার সেই মন্তব্যের ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল। পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, কর্ণাটকে বিজেপি পর্যুদস্ত হওয়ার পর কংগ্রেস তো বটেই তামাম বিরোধী দল অক্সিজেন পেয়েছে। আর তাই কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের ওপর এখন ধারাবাহিক চাপ তৈরি করে রাখতে চাইছে। তা সে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কট করা হোক বা নীতি আয়োগের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকা। শুধু তা নয়, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকের মতে, এই ধরনের বিরোধী-বৈঠকের মধ্যে দিয়ে আঞ্চলিক দলগুলি জাতীয় রাজনীতিতে তাদের প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখারও চেষ্টা করছে।