রবিবার নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল করেছিল তৃণমূল সহ দেশের ২০টি বিজেপি দল। যার মধ্যে ছিল এনসিপিও। এ নিয়ে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি খুশি যে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনে যাইনি।’ নিজে না গেলেও গোটা অনুষ্ঠান সম্পর্কেই ওয়াকিবহাল ছিলেন পাওয়ার। সংসদে পুজো ও সেঙ্গোল প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সকালে অনুষ্ঠানটি দেখেছি। আমি খুশি যে ওই অনুষ্ঠানে যাইনি। ওখানে যা হল, তা দেখে আমি চিন্তিত। আমাদের দেশ কি পিছিয়ে যাচ্ছে? সীমিত সংখ্যক মানুষের জন্য কি এই অনুষ্ঠান ছিল?’
প্রবীণ নেতার মতে, গতকাল নতুন সংসদ ভবনে যা কিছু হয়েছে তা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর সমাজের চিন্তাধারার সম্পূর্ণ বিপরীত। তাঁর কথায়, ‘আধুনিক বিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে সমাজ গড়ার ভাবনা ছিল প্রধানমন্ত্রী নেহেরুর। গতকাল ঠিক তার উল্টোটা হয়েছে। সরকারের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতি ও উপ-রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানানো। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অথচ উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকর, যিনি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান, তিনি ছিলেন না। গোটা অনুষ্ঠানটিই সীমিত সংখ্যক কিছু মানুষের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল বলে মনে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরনো সংসদ ভবনের সঙ্গে এক বিশেষ যোগ রয়েছে। এটা শুধু সংসদের সদস্য বলে নয়…নতুন সংসদ ভবন গঠন নিয়ে আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনাই করা হয়নি। যদি সবাই এই বিষয়ে লিপ্ত থাকত, তবে ভাল হত।’