ফের নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটল বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশে। যোগীরাজ্যের অযোধ্যায় এক দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ উঠল স্কুলের ম্যানেজার এবং খেলার শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গণধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাট করতেই অভিযুক্তরা কিশোরীকে স্কুলের ছাদ থেকে ফেলে দেয়, এমনই অভিযোগ করেছে ছাত্রীর পরিবার। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকাজুড়ে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেসরকারি স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি চলাকালীন ছাত্রীকে ডেকে পাঠান প্রিন্সিপাল। সেই মতো শনিবার কিশোরী স্কুলে গিয়েছিল। ছাত্রীর পরিবার জানিয়েছে, গতকাল সকাল ৯টা ৫০ মিনিট নাগাদ স্কুলের তরফে তাদের ফোন করে জানানো হয় যে দোলনা থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছে ছাত্রী। বাবা স্কুলে পৌঁছানোর আগেই আহত কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। গ্রীষ্মকালীন ছুটির মধ্যে কেন ছাত্রীকে ডেকে পাঠালেন প্রিন্সিপাল? উঠেছে এমনই প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, মৃত্যুর আগে তাঁর মেয়ে জানিয়েছে যে প্রিন্সিপালের ষড়যন্ত্রে খেলার শিক্ষক ও ম্যানেজার তাকে ধর্ষণ করেছে। প্রমাণ লোপাটের জন্য স্কুলেরই ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয় কিশোরীকে। পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মানসিক আঘাত এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হয়েছে তার। কিশোরীর বাবা দাবি করেছেন, মেয়ের গোটা শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। যা দোলনা থেকে পড়ে গেলে কখনই সম্ভব নয়। ঘটনার তদন্তে নেমে স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে অযোধ্যা পুলিশ। মৃত কিশোরীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পকসো আইনে গণধর্ষণের মামলা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে স্কুলের প্রিন্সিপাল, খেলার শিক্ষক ও ম্যানেজারের বিরুদ্ধে।