শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রামে সভা সেরে বেরোনোর সময় হামলার মুখে পড়েছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়। তিনি গাড়িতে উঠে যাওয়ার পর কার্যত ইট-বৃষ্টি করা হয় কনভয়ের বাকি গাড়িগুলিতে। যার ফলে ভাঙে মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ির কাচ। তবে তাতে দমে না গিয়ে এবার ৩ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে লোধাশুলিতে পৌঁছে গেলেন অভিষেক। সেখান থেকেই এই হামলার ঘটনাকে ‘আন্দোলনের নামে গুন্ডামি’ বলে দাবি করেছেন তিনি। আরও জানিয়েছেন, তাঁর বিশ্বাস, কুড়মিরা নন, এর পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে। মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার কনভয়ে হামলার নিন্দা করে লোধাশুলির সভা থেকে অভিষেক বলেন, ‘আপনারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করুন। এটা কোনও আন্দোলনের পদ্ধতি হতে পারে না।’ তাঁর প্রশ্ন, যাঁরা জনজাতির স্বীকৃতির জন্য লড়ছেন তাঁরা কী করে জনজাতি মহিলার ওপর হামলা চালালেন?
তিনি জানিয়েছেন, তিনি হামলার খবর পেয়েই গাড়ি থেকে নেমে এসেছিলেন, কিন্তু তখন বিক্ষোভকারীদের কারও দেখা পাওয়া যায়নি। তাঁর প্রশ্ন, ‘পাথর ছুড়ে আপনারা স্মারকলিপি জমা দিচ্ছিলেন?’ এই হামলার পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে দাবি অভিষেকের। তাঁর দাবি, কুড়মি সমাজের পতাকা হাতে নিয়ে বকলমে হামলা চালিয়েছেন বিজেপি কর্মীরাই। তাঁর প্রশ্ন, ‘কুড়মি আন্দোলনই হলে মুখে জয় শ্রী রাম কেন?’ হামলার ঘটনায় কুড়মিদের সমর্থন রয়েছে কিনা, স্পষ্ট করে জানানোর জন্য সময় বেঁধে দিয়েছেন অভিষেক, ‘আপনারা যদি এই হামলার সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সংবাদমাধ্যমের সামনে তা জানান।’ কুড়মি সমাজের তরফে এ বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিবৃতি না দিলে তৃণমূলের তরফে ধরে নেওয়া হবে, এই হামলার পিছনে কুড়মিদেরই হাত রয়েছে, সাফ জানিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড।