কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে মণিপুরে কিছুতেই নিভছে না হিংসার আগুন। গত রবিবার রাত থেকেই ফের নতুন করে অশান্তি দানা বেঁধেছে এই ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার শাসিত রাজ্যে। হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে ইম্ফলের চেকন এলাকায়। লুঠপাট চলছে দোকানপাট, ঘর-বাড়িতে। মঙ্গলবার গভীর রাতে সে রাজ্যের বিষ্ণুপুর জেলার বিভিন্ন বাড়িতে হানা দেয় জঙ্গিরা। তখনই গ্রামবাসীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। জানা যায়, বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় জঙ্গিরা। তার মধ্যে রাজ্যে এক মন্ত্রীর বাড়িও রয়েছে।
অন্যদিকে, এই পরিস্থিতির মধ্যেই সাধারণ মানুষের শিরে সংক্রান্তি দশা। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অগ্নিমূল্য। ১০০ টাকা কিলো আলু, একটি ডিম ১০ টাকা আর চালের দামও সাধারণের নাগালের বাইরে। আর এই বিপুল দামে কেনার পরও যে রান্না করা যাবে তা নয়। কারণ গ্যাসের দাম সিলিন্ডার পিছু ছাড়িয়েছে ১৮০০ টাকা। সংঘর্ষ বিধ্বস্ত মণিপুরের হাল এটাই। উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহকারী ট্রাক চলাচলও স্বাভাবিক নয়।
ইম্ফল পশ্চিমের বহু জায়গায় পেট্রোলের দাম লিটারপিছু ১৭০ টাকা ছুঁয়েছে। বলতে গেলে, এখন মুখের গ্রাস যোগাতেও জেরবার মণিপুরের সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে মণিপুরের পরিস্থিতি সম্পর্কে কেন্দ্রের সরকারের উদাসিনতার অভিযোগ আনছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তাঁদের অভিযোগ কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ গুয়াহাটিতে দাঁড়িয়ে মণিপুরে শান্তি ফেরানোর কথা বলছেন, অথচ ২২দিন ধরে মণিপুর জ্বলছে, তিনি একবারও ইম্ফলে যেতে পারলেন না!