বিজ্ঞানের উৎস বেদ। সেখান থেকেই আধুনিক বিজ্ঞানের উৎপত্তি হয়েছে! পরে পাশ্চাত্যের বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার হিসেবে সেগুলি গণ্য হয়েছে। এবার এমনই মন্তব্য করলেন খোদ ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)-র চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। তাঁর দাবি, বীজগণিত, বর্গমূল, সময়ের ধারণা, স্থাপত্যের গোড়ার কথা লেখা ছিল বেদে। পশ্চিমি দুনিয়া যে আধুনিক সভ্যতার জনক বলে মনে করে নিজেকে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোমনাথ বলেন, ‘উন্নত বিশ্ব পরে এগুলো খুঁজে পেয়েছে মাত্র। কিন্তু তার আগে থেকেই এগুলোর অস্তিত্ব ছিল।’
মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে মহাঋষি পাণিনি সংস্কৃত এবং বৈদিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইসরো চেয়ারম্যান। সংস্কৃত ভাষায় লেখা বেদ প্রথমে কেন তার প্রাপ্য স্বীকৃতি পায়নি, সে কথা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘সংস্কৃত ভাষার নিজস্ব কোনও লিপি ছিল না। কান দিয়ে এবং হৃদয় দিয়ে বেদের শিক্ষা গ্রহণ করতেন পড়ুয়ারা। অনেক পরে সংস্কৃতের জন্য দেবনগরী হরফ ব্যবহৃত হয়।’ ভাষাগত সমস্যার কারণেই বেদে উল্লিখিত বিজ্ঞানের সূত্র বাকি বিশ্বের কাছে অধরা রয়ে গিয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। এস সোমনাথ আরও বলেন, ‘সংস্কৃত ভাষায় প্রাচীন ভারতে জ্ঞান-বিজ্ঞানের যে চর্চা চলত তার মধ্যে কোনওরকম ভাগাভাগি ছিল না। দর্শন এবং বিজ্ঞানের চর্চা প্রাচীনকাল থেকেই অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।’