বছর চল্লিশের মহিলা। নাম তনুশ্রী সিনহা বাবু। হার্টের অসুখে ভুগছিলেন। ২০১৫ সালে পরীক্ষা করে প্রথম তাঁর হৃদযন্ত্রের অসুস্থতা ধরা পড়ে। দেখা যায় হার্টের ভালবে একটি ফুটো রয়েছে। চিকিৎসাবাবদ লক্ষাধিক টাকার কথা জানান ডাক্তাররা। এর মধ্যেই করোনাকাল শুরু হওয়ায় চিকিৎসা প্রক্রিয়া থমকে যায়।
কোভিডকালের শেষের দিকে তনুশ্রীর হার্টের অসুখ বৃদ্ধি পাওয়ায় পরীক্ষায় এবার তাঁর ভালবে দু’টি ফুটো ধরা পড়ে। ডাক্তাররা অপারেশনের বাজেট প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা বলে জানিয়ে দেন। চিন্তায় পড়েন তনুশ্রীর পরিবার।
এরই মাঝে তাঁদের গ্রামে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়ে আসেন বহু দুর্গত মানুষের কাছে মুসকিল আসান হয়ে ওঠা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কানে তনুশ্রীর যন্ত্রণার কথা পৌঁছতেই প্রতিনিধি পাঠিয়ে দ্রুত স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বানিয়ে বাড়িতে পাঠান। দলীয় কর্মীদের মাধ্যমে স্বাস্থ্যভবনে যোগাযোগ করে সাড়ে চার লাখটাকা অনুমোদনও করান। তনুশ্রীর দিদি সোনালী স্বীকার করেন, ‘হার্টের ভালবে অপারেশনের পর নবজীবন পেল অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচির জন্যই।’
রোড শোতে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের দোমহনি গ্রামের ইরা পাল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার হয়নি বলে অভিষেককে অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর বয়স সীমা ৬৫ পেরিয়ে যাওয়ায় বার্ধক্যভাতা পাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু তার আগে অভিষেকের নির্দেশে দলীয় নেতৃত্ব সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। দু’দিন আগে বাঁকুড়ার তালডাংরায় ইন্দপুরের বড়জোরাজপুরের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় উপর কেচেন্দা থেকে ছোট কেচেন্দা পর্যন্ত প্রায় এক কিমি রাস্তা মোরাম থেকে কংক্রিট করার আবেদন করেন অভিষেকের কাছে। এদিনই ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে করে বিডিও পরিদর্শন করে দ্রুত রাস্তাটি কংক্রিটের নির্মানের কথা জানিয়েছেন।